শেয়ার মার্কেট বা পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে থাকলে দেশের অর্থনীতির জন্য তা ভালো কিছু বয়ে আনে। পুঁজিবাজারকে ভালো অবস্থানে আনতে বন্ড মার্কেট এর দিকে নজর দিতে হবে। এখন সুকুক বন্ড বেশ জনপিয়তা পাচ্ছে। সুকুক বন্ড পুঁজিবাজারে বেশ কার্যকর হিসেবে গণ্য হয়। এশিয়ায় এটি বেশ কাজে দেয়। আগের সরকারের সময় যোগ্য নয় এমন ব্যক্তিদের সুবিধা দিয়েছে।
ঢাকায় এক কর্মশালায় ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং বন্ড অ্যান্ড সুকুক মার্কেট’ নামে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইসিএম-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নাজমুস সালেহীন, সিএমজেএফের সভাপতি গোলাম সামদানী ভুইয়া, সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের প্রভাষক ফাইমা আক্তার।
নাজমুস সালেহীন বলেন, ‘বিআইসিএম দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। পুঁজিবাজারের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু দুঃখজনক হলো, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা সাড়া পাচ্ছি না।’
তিনি বলেন, ‘বিআইসিএম এ এপ্লাইড ফাইনান্স অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে। যার সার্টিফিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করে। এখানেও আমরা আশানুরূপ শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। পুঁজিবাজারে সচেতন বিনিয়োগকারী তৈরিতেও বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি।’
সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভুঁইয়া বলেন, ‘পুঁজিবাজারে উন্নয়ননে বন্ডের বিকল্প নেই। কিন্তু এ বন্ড সম্পর্কে জানা এবং বুঝার বিষয়ে যথেষ্ট ঘাটতি আছে সংবাদকর্মীদেরও। এ আয়োজন আশা করি সেই ঘাটতি মেটাতে ভূমিকা রাখবে।’ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সঠিক সময়ে বন্ড এর অপব্যবহার না আটকানো গেলে বিনিয়োগকারীরা এর ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন।’ সুকুক এবং বন্ডে বিনিয়োগ করা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি ৷
সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলী বলেন, ‘শেয়ারবাজার একটি সংবেদনশীল জায়গা। এ বিটে কর্মরত সংবাদকর্মীরা অর্থনীতি এবং বাণিজ্য বিভাগের বাইরে থেকেও এসেছেন। ফলে সংবেদনশীল জায়গায় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার জন্য সিএমজেএফ সবসময় সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায় এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন। আশা করি এ ধরনের কর্মশালা দেশের শেয়ারবাজার এবং অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।’ প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক এস এম কালবীন ছালিমা, প্রভাষক ফাইমা আক্তার ও প্রভাষক গৌরব রায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।