জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের ধুনট গ্রামের একটি পুকুর থেকে বিলকিস খাতুন (৫০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছেন স্বজন ও গ্রামবাসী। খবর পেয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী সাদেক আলীকে (৬৫) মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার টাকাহুত নোহার গ্রাম থেকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার আনুমানিক রাত ৮টায় নিহতের স্বামী সাদেক আলী তার স্ত্রী বিলকিস খাতুনকে নিয়ে সবার অজান্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। নিহতের ছেলে সোহরাব হোসেন তার মা-বাবাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বাড়ির পাশে মায়ের ব্যবহৃত জুতা পড়ে থাকতে দেখে ছেলে ও গ্রামবাসী আশপাশে খুঁজতে থাকেন।
একপর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে বিলকিস খাতুনের লাশ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। নিহতের ছেলেসহ গ্রামবাসীর সহায়তায় লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে খবর পেয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুকুর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের সময় সাদেক আলী পলাতক ছিল।
মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাদেক আলীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহত বিলকিছ খাতুনের ছেলে সোহরাব হোসেন বলেন, বাবা-মায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ লেগেই থাকতো। মাকে বিভিন্ন সময় নির্মমভাবে নির্যাতন করতো বাবা। বহুবার পরিবারের লোকজন মিলে মা-বাবার বিচার সালিশও করতে হয়েছে।
হত্যার অভিযোগ তুলে নিহতের ভাই মঞ্জুরুল আলম বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সাদেক আলী।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সেলিম মালিক জানান, নিহতের ভাই মঞ্জুরুল আলম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে আসামি সাদেক আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।