রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচিত এক বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ শহরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এই বৈঠককে আন্তর্জাতিক মহল অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। তবে, হোয়াইট হাউজের ভাষ্য অনুযায়ী, এই আলোচনায় ট্রাম্প থাকবেন ‘শ্রোতা’র ভূমিকায়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্থানীয় সময় এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িত পক্ষ হচ্ছে রাশিয়া। তাই এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মূলত শুনবেন—এই যুদ্ধের বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, এই বৈঠকটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য এক ধরনের শ্রবণ অনুশীলন। তিনি এখন যুদ্ধ নিয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এটি তার প্রস্তুতির অংশ।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, বৈঠকটি একান্ত ও রুদ্ধদ্বার হবে। কোনো তৃতীয় পক্ষ সেখানে উপস্থিত থাকবে না। ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়া সফরের পরিকল্পনাও করছেন বলে জানানো হয়।
পুতিনের সঙ্গে আলোচনার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকে কয়েকজন ইউরোপীয় নেতাও অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে এই বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, তার লক্ষ্য হলো ইউক্রেন সংঘাতের অবসানে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা, যেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একসঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, পরবর্তী বৈঠকটি হতে পারে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে। অথবা আমি নিজেও সেখানে থাকতে পারি—যদি তারা চান।
তিনি আরও বলেন, আমি চেষ্টা করব যেন সবাই একসঙ্গে বসে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে পায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।