জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ১৭ দিন নিখোঁজের পর কিশোরের অর্ধগলিত লাশের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ আর এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বাবা, মা ও বোনকে।
শুক্রবার গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী বাজার সংলগ্ন শেখের বাড়ির পাশে জলাশয় থেকে হাসানের (১৮) নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ১০ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
শনিবার গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন স্থানীয় সংবাদকর্মীদের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত শুক্রবার সকালে হোসেন্দী বাজারসংলগ্ন শেখের বাড়ির পাশে ডোবা থেকে হাসান (১৮) নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দিনই নিহত হাসানের বাবা মো. শামীম শিকদার (৪০), মা হাসিনা বেগম (৩৮) ও বোন শিলাকে (১৫) এ ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞেসাবাদে এক পর্যায়ে হাসানের হত্যার সাথে তারা জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
পুলিশ আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে বাবা মো. শামীম শিকদার জানায়, গত ২১ ডিসেম্বর সোমবার রাতে হাসানের বোন শিলা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাইরে গেলে পথে তার বড় ভাই হাসান ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার বোনের ডাকচিৎকারে মা হাসিনা ও বাবা শামিম সিকদার ও তার স্ত্রী হাসিনা পুত্র হাসানকে নিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করে।
পরে মা হাসিনা তার পুত্র হাসানের পা ধরে রাখে আর পিতা তার পুত্রের নাকে-মুখে বালিশ চাপা দেয় এবং বোন শিলা প্রথমে চাকু দিয়ে হাসানের পুরুষাঙ্গ কর্তন করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পিছনে ডোবায় ফেলে রাখে।
পরে এ ঘটনায় হাসানের ভাই হোসেন গজারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে যার নং ০৯। পুলিশ শনিবার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু এবং গামছা উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, লাশ উদ্ধারের দিন শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে নিহত হাসানের লাশ উদ্ধার করা হলে হাসানের মা হাসিনা এ ঘটনায় প্রতিবেশী শাহ আলম গং জড়িত আছে বলে জানায়। পরে মামলাটি তদন্তে করলে নিহত হাসানের বাবা, মা ও বোনের অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হলে তাদের গ্রেফতার করে থানায় আনলে তারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে স্বীকার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।