চাঁদে পুনরায় অভিযান চালানোর জন্য মহাকাশচারীদের জন্য নতুন স্পেসসুট ডিজাইন করেছে নাসা। নভোচারীরা যেন চাঁদের পৃষ্ঠে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে সেজন্য স্পেসসুটের ডিজাইন আপডেট করা হয়েছে। কিছু ইউনিক ফিচার এখানে উপস্থিত রয়েছে যেনো সহজে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো সহজ হয়।
মহাকাশচারী নারী হলেও যেনো তার বডির সাথে স্পেসসুটটি ভালোভাবে ফিট হয় সেটি মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। এর আগে সঠিক সাইজের স্পেসসুট এর অভাবে পূর্বের মিশনটি বিলম্বিত হয়েছিল। এবার আর একই ভুল করতে চায় না নাসা।
নতুন ডিজাইনের স্পেসসুটটি মহাকাশচারীদের আরো নমনীয়তা প্রদান করবে। তাছাড়া নতুন ডিজাইনের হেলমেট যোগ করা হয়েছে। এ হেলমেটে বিল্ট ইন লাইট সিস্টেম যোগ করা হয়েছে।
পাশাপাশি হেলমেটের লাগানো ক্যামেরা দিয়ে উন্নত কোয়ালিটির ভিডিও শুট করা যাবে। চাঁদের বেশ কিছু জায়গায় হিমায়িত তাপমাত্রা থাকার কারণে স্পেসসুটটি মহাকাশচারীদের যেনো রক্ষা করতে পারে সেটিও খেয়াল রাখা হয়েছে।
২০২৫ সালে পুনরায় চাঁদের বুকে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে Artemis III। উন্নত মানের মেনুফ্যাকচারিং মেথড এর মাধ্যমে Artemis III স্পেসসুটট তৈরি করা হবে।
স্পেসসুটটি রেডি করার জন্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। পরবর্তী মিশনের পূর্বেই স্পেসসুটটি পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। নাসার জানিয়েছে যে, তারা ইতিমধ্যে এ স্পেস্যুটের পেছনে ৪২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে ফেলেছে।
তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা আছে পুরো প্রজেক্টটি দ্রুত শেষ হওয়ার। Axiom Space এর প্রেসিডেন্ট এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার Mike Suffredini এক বিবৃতিতে বলেন যে, স্পেসসুটটি নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। চাঁদের বুকের জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য স্পেসসুটটি উপযুক্ত হবে।
দীর্ঘ মেয়াদে সেখানে মহাকাশচারীরা যেন অবস্থান করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে। স্পেসসুটটি পুরোপুরি চালু করার পূর্বে নাসার জনসন সেন্টারে এটি পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।