লাইফস্টাইল ডেস্ক : পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট বা বন্ধ্যাত্বের মূল কারণ বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কম হওয়া। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান এনএইচএসের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, যে দম্পতিদের সন্তান হয় না, তাদের এক-তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্বামীর শুক্রাণুর মান নিম্ন ও সংখ্যা কম হওয়া।
চিকিৎসকদের মতে, প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণুর সংখ্যা ১৫ মিলিয়ন বা দেড় কোটির কম হলেই প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। জীবনযাত্রার ভুল অভ্যাসের কারণে পরিণত বয়সে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে, তরুণ বয়সে সেগুলো নিয়ে মানুষের সচেতন থাকে না। এমন ৫টি অভ্যাসের কারণে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে—
ধূমপান
ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ধূমপায়ী-অধূমপায়ী উভয়ই অবগত। ধূমপানে অন্যান্য ক্ষতির পাশাপাশি প্রজনন ক্ষমতাকে মারাত্মক হারে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেকের ধারণা যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, শুধু তারাই ক্ষতির শিকার হন। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, কালেভদ্রে ধূমপান করা, এমনকি ধূমপায়ীর আশপাশে থাকার কারণে পরোক্ষ ধূমপানও প্রজনন ক্ষমতার ক্ষতি করে। এর ফলে পুরুষের বীর্জের মান কমে যায়।
রাসায়নিকের ব্যবহার
বাতাসের বিভিন্ন দূষিত উপাদান, কীটনাষক ইত্যাদিতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান প্রজনন ক্ষমতা কমাতে ভুমিকা রাখে। রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে গর্ভধারণের ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে ২৯ শতাংশ। এজন্য গৃহস্থালীর যেকোনো পণ্য কেনার সময় দেখতে হবে তাতে ‘পিসিবি’, ‘থ্যালেটস’, ‘ফুরান’ ইত্যাদি আছে কি না। এই উপাদানগুলোই বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির জন্য দায়ী। ঘর পরিষ্কার করার অনুসঙ্গ ও প্রসাধনীতে এর উপস্থিতি দেখা যায়।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ নিয়ে নানান কথা বলা হলেও খুব কম মানুষই তা সামাল দিতে পারেন কিংবা চেষ্টা করেন। আধুনিক জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ‘মেন্টাল স্ট্রেস’। প্রজনন ক্ষমতা বাড়ার পথেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য বাধা। কারণ মানসিক চাপগ্রস্ত অবস্থায় শরীরের যে হরমোনগুলো নিঃসৃত হয়, সেগুলো প্রজনন ক্ষমতাকে দমিয়ে রাখে। নারী-পুরুষ উভয়ই শিকার হন। ফলে গর্ভধারণ জটিল হয়ে ওঠে।
যৌনসঙ্গম সংক্রান্ত সমস্যা
অনিরাপদ যৌনসঙ্গমের কারণে ‘সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ’-এর আশঙ্কা থাকে। এই সংক্রামক রোগগুলো নিজের জীবনের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি পৃথিবীতে নতুন জীবন নিয়ে আসার জন্যও ক্ষতিকর। বেশিরভাগ যৌনরোগের প্রাথমিক অবস্থায় কোনো উপসর্গ থাকে না। ফলে চিকিৎসা নেওয়া হয় না সময় মতো। ফলে তা প্রজনন তন্ত্রকেই নষ্ট করে ফেলে।
অতিরিক্ত কফি পান
চা কফি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে দিনে তিন থেকে চার কাপের বেশি কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা এখনই কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ‘ক্যাফেইন’ শরীরে প্রবেশ করলে তা শুক্রাণুর উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই দিনে দুই কাপ বা ২৫০ মি. লি. গ্রাম কফির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।