বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা গোবিন্দের স্ত্রী সুনীতা আহুজা তাদের বিবাহ এবং তার স্বামীর রোমান্টিক প্রকৃতি সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
অকপট কথোপকথনে সুনীতা ভাগ করে নিয়েছিলেন যে যখন গোবিন্দের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল, তখন তিনি একজন টমবয় ছিলেন। যিনি স্কার্ট পরতেন এবং ছোট চুল রাখতেন। গোবিন্দ প্রায়শই মজা করে তাকে ছেলে বলতেন।
সুনিতার কথায়, ‘আমি সবসময় হাফপ্যান্ট পরতাম এবং তার সঙ্গে দেখা হওয়ার সময় আমার চুলও ছোট ছিল। ও বলত, আমি ছেলে। তিনি চাইতেন আমি যেন সব সময় শাড়ি পরি, আমি কখনই তাকে পছন্দ করতাম না। কারণ, সে খুব পিছিয়ে ছিল।’
সুনীতা আরও প্রকাশ করেন যে তিনিই তাদের সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন। কারণ, গোবিন্দ নারীদের স্পর্শ করতেও ভয় পেতেন। তবে গোবিন্দ যে রোমান্টিক টাইপের নন, তা অন্তত বাস্তব জীবনে নয়। এখন আমি জানি না সে এমন হয়ে গেছে কিনা। কখনো কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করবেন না। মানুষ গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমাদের বিয়ে হয়েছে ৩৭ বছর হয়ে গেছে। কোথায় যাবেন তিনি? আগে উনি কোথাও যেতেন না, এখন জানি না…।’ একটু ব্যঙ্গের সুরে কথাগুলো বলেন সুনিতা।
সুনীতা আরো জানান, তারা বেশিরভাগই আলাদা বাড়িতে থাকেন। মিটিং এবং জমায়েতে দেরি হয়ে যাওয়ায় গোবিন্দ প্রায়শই তার বাংলোতে থাকেন। আমাদের দুটো বাড়ি আছে, আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের উল্টোদিকে একটা বাংলো আছে। ফ্ল্যাটে আমার মন্দির ও সন্তান রয়েছে। আমরা ফ্ল্যাটে থাকি।
গোবিন্দর রোমান্টিক স্বভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সুনীতা হেসে বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি যে পরবর্তী জন্মে সে আমার স্বামী হওয়া উচিত নয়। তিনি ছুটিতে যান না। আমি এমন একজন ব্যক্তি যে স্বামীর সাথে বাইরে যেতে চায় এবং রাস্তায় পানি-পুরি খেতে চায়।’
তিনি বলেন, গোবিন্দ রবিনা ট্যান্ডন এবং কারিশমা কাপুরের মতো অভিনেত্রীদের সাথে কাজ করতেন। আমাদের বিয়ের আগে আমি খুব সুরক্ষিত ছিলাম, এখন নেই। ৬০ বছর পর মানুষ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তিনি ৬০ পেরিয়েছেন, আপনি কখনই জানেন না যে তিনি কী করেন…।’ গোবিন্দার কার্যকলাপ নিয়ে তিনি এখন আরও সতর্ক বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।