
জুমবাংলা ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডাকঘরের দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক ও বিশাল অবকাঠামো আমাদের বিশাল সম্পদ। এ সম্পদকে জাতির কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি দেওয়া-নেওয়ার যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহনে ডাক বিভাগকে শ্রেষ্ঠতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি পুরো ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করছি আমরা। ডাকঘর ডিজিটাল সেবা দেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকায় ডাক ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনাসভা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ বলেন মোস্তাফা জব্বার।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বক্তব্য দেন।
বিশ্ব ডাক দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডাকঘরকে পণ্য পরিবহন ও বিতরণের ব্যাকবোন হিসেবে প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে চিঠির যুগ শেষ হয়ে গেলেও ডাক সেবার প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়নি। বহুমাত্রিক ডিজিটাল সেবা দেওয়ার বদৌলতে-উদ্ভাবনের হাত ধরেই আগামীর ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের বিশ্বে ডাকসেবার প্রয়োজনীয়তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাইজেশনের জন্য ডিজিটাল সার্ভিস ল্যাব করেছি। সেখান থেকে ডিজিটাল প্রক্রিয়া কীভাবে করা যায়—সে লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ডিজিটাল ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ২০০টি ডিজিটাল সরকারি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
কম্পিউটারকে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, জনবলকে দক্ষ করে তৈরি করা থেকে শুরু করে অবকাঠামো পর্যন্ত ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ ধরেই এগুবে ডাকবিভাগ। ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্য পদ অর্জনের ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের বিভিন্ন গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
ডাকবিভাগের ইতিহাস তুলে ধরে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, প্রাচীনকালে যেমন ডাকবিভাগের প্রয়োজন ছিল, আগামীতেও থাকবে। একাত্তরের ২৯ জুলাই মুজিবনগর সরকার এবং যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্স থেকে প্রকাশিত ৮টি স্মারক ডাকটিকেট বিশ্বে আমাদের জাতিসত্ত্বা, রাষ্ট্রসত্ত্বা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বহুমাত্রিক ডিজিটাল সেবা দেওয়ার বদৌলতে-উদ্ভাবনের হাত ধরেই আগামীর ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের বিশ্বেও ডাক সেবার প্রয়োজনীয়তা অব্যাহত থাকবে।
এরপর বিশ্ব ডাক সংস্থা ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপইউ) আয়োজতি ৫০তম পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক বিজয়ী সিলেট আনন্দ নিকেতন বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুবায়শা ইসলামকে পুরস্কৃত করেন মন্ত্রী। এছাড়া মন্ত্রী ৪৮, ৪৯ ও ৫০তম আন্তর্জাতিক পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



