জুমবাংলা ডেস্ক : ধীরে ধীরে বাংলাদেশের পুরো মানচিত্রে ছড়িয়ে পড়ছে মরণঘাতি ভাইরাস কভিড-১৯। নতুন করে ৬ জেলায় এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ লক্ষ্য করা গেছে।
সম্প্রতি ৬ জেলায় নতুন করে আরও ৩১ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। গোপালগঞ্জে আরও ৭ পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মুকসুদপুর থানার ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনের দেহে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, এ পর্যন্ত জেলা থেকে ২২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে ১৬৭ জনের যার মধ্যে ১৭ জনের করোনা ভাইরাস পজিটিভ। বাকীদের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
মুকসুদপুরের ১০ পুলিশ সদস্য ছাড়াও আক্রান্ত অন্যরা হলেন- সদর উপজেলাপ ৩ জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩ জন এবং কোটালীপাড়ার ১ জন। আক্রান্তদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানান সিভিল সার্জন।
আক্রান্তদের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৩ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় মৃত্যূ হয়েছে তিন নারীর । তাদের নমুনা আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোনায় এবার পাঁচ বছরের এক শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত শিশুটির বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলায়। এর আগে গত ১০ এপ্রিল প্রথম রোগী হিসেবে নেত্রকোনায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন শিশুটির বাবা।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহসান কবীর জানান, শিশুটির বাবাকে সদর হাসপাতালের করোনাভাইরাসের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন শিশুটিকেও একই ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হবে। নেত্রকোনায় করোনায় আক্রান্তদের বেশিরভাগই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর ফেরত।
চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ৪ ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে গেল ১৩ এপ্রিল মারা যাওয়া এক নারীর দেহেও।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালের ল্যাবে নতুন করে ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার পর বুধবার রাতে এ তথ্য জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেল ফজলে রাব্বি।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নতুন আক্রান্ত চারজনের মধ্যে দুইজন নগর ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত। এর বাইরে একজন কর্মরত চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অন্যজন পিকআপ ভ্যান চালক। চট্টগ্রামে এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩১ জন। মারা গেছেন ৪ জন।
তথ্যসূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।