পুলিশের ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে লাশ হলেন শিক্ষক

জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট বাজার এলাকায় বাঙ্গালী নদীতে নৌকায় বসে জুয়া খেলছিলেন কয়েকজন। এ সময় পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন অধ্যাপক আব্দুল হাই নান্নু (৩৪)। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

বুধবার বিকেল ৪টায় শেরপুর উপজেলার সুঘাট বাজার এলাকায় বাঙ্গালী নদীতে তার লাশ ভেসে ওঠে।

নিহত অধ্যাপক আব্দুল হাই সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার আমিনা মনসুর ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টায় উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা আওলাকান্দি ঘাট এলাকায় বাঙালী নদীর মধ্যে নৌকায় জুয়া খেলা চলছিল। গোপন সংবাদ ভিত্তিতে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক ওসমান গণির নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।

পুলিশি উপস্থিতি টের পেরে আটক এড়াতে কলেজশিক্ষক আব্দুল হাইসহ বেশ কয়েক জুয়াড়ি নদীতে ঝাঁপ দেন। এর মধ্যে অন্যান্যরা সাঁতরিয়ে নদীর পাড়ে উঠলেও এই শিক্ষক নদীতে নিখোঁজ হন।

তবে অভিযানে কাজীপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মেঃ তাছির উদ্দীন (৫০), ধুনট উপজেলার চাঁন্দিয়াড় গ্রামের হেলাল উদ্দীন (৩৮), শেরপুর পৌরশহরের দত্তপাড়া এলাকার মানিক তাম্বলী (৩৫), সুঘাট ইউনিয়নের আওলাকান্দি গ্রামের নৌকার মালিক রফিকুল ইসলাম (৪০) ও একই ইউনিয়নের জয়লা আলাদি গ্রামের আব্দুল হান্নান খানকে (৩৫) আটক করা হয়।

পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের তদবিরে আব্দুল হান্নানকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ নগদ সাড়ে ৩৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৪টায় ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার ভাটিতে সুঘাট বাজার এলাকায় বাঙ্গালী নদীতে আব্দুল হাই নান্নুর লাশ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে।

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিবেদককে বলেন, উদ্ধারকৃত লাশটি অধ্যাপক আব্দুল হাইয়ের বলে পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ সময়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটি নিখোঁজ কলেজশিক্ষক আব্দুল হাইয়ের বলে তার স্বজনরা শনাক্ত করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।