জুমবাংলা ডেস্ক : বিয়ের দাবিতে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে অনশনে থাকা তরুণী সেই পুলিশ সদস্য রানা মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে।পুলিশ সদস্য মোঃ রানা মিয়া উপজেলার খালিজুরী গ্রামের মোঃমজনু মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে নরসিংদীর পলাশ থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট)দুপুরের দিকে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পিতা মো.আ.মান্নান বাদি হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে গৌরীপুর সার্কেলের এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভিকটিমকে জবানবন্দি ও মেডিকেল রির্পোটের জন্য বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, গত শনিবার রাতে ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করে। পরে রানা মিয়ার পরিবারের লোকজন তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
পরে ওই দিন রাত ৩ টার দিকে পুলিশ সদস্য রানার মিয়ার বাড়িতে গত দুইদিন বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেন। কিন্তু প্রেমিক রানার পরিবার তাকে মেনে নিতে রাজি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার হুমকি দেয় ওই প্রেমিকা। অনশনে থাকা ওই তরুণী বিডি২৪লাইভকে বলেন,গত তিন বছর ধরে রানার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। রানা তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করেছেন।
বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ওই তরুণী, আরও বলেন রানার বাড়িতে অনশনে থাকার সময় তার পরিবারের লোকজন আমাকে খাওয়ার জন্য এক গ্লাস পানিও দেয়নি। এমনকি আমি যে ঘরে বসে আছি সেই ঘরের বৈদ্যুতিক লাইন কেটে দিয়েছে। রানা মিয়ার পরিবারের লোকজন আমাকে তাদের বাড়ি থেকে জোড় করে তাড়িয়ে দিলে রানা মিয়ার নামে মামলা করে তার পরিবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।