গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন জয়দেবপুর-নীলেরপাড়া-পূবাইল কলেজ গেট পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ব্যস্ততম এ সড়কে যাতায়াতকারী বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও সেই সঙ্গে পথচারীদেরও মারাত্মক কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। তবে সড়কটি মেরামতে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের মোড় থেকে শুরু করে ছায়াবীথি মোড়, বাঙ্গালগাছ, নীলেরপাড়া মোড়, ইছালী, বিলাসরা, ডেমুরপাড়া, ভাদুন, কলেজ গেট এলাকা সংলগ্ন স্থানে সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এ সড়কে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত লোকজন বিড়ম্বনায় পড়ছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকে। অনেক সময় ভাঙাচোরা রাস্তায় চলতে গিয়ে অটোরিকশা, ইজিবাইক, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন বিশাল আকারের গর্তে আটকে যায় এবং উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সড়কটির অনেক স্থানের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোটো-বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা কাদায় সয়লাব হয়ে যায়। সড়কটির উভয় পাশে বেশ কিছু রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট থাকায় সেগুলোয় দর্শনার্থীদের প্রচুর সমাগম ঘটে। এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে সেসব স্থানে যেতে দর্শনার্থীদের যে কষ্ট পোহাতে হয়, তাতে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। তাছাড়া এলাকায় গড়ে ওঠা বিপুলসংখ্যক শিল্পকারখানার হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজনদের প্রতিনিয়ত এই ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে দারুণ কষ্ট ভোগ করতে হয়।
দীর্ঘদিন যাবত সড়কটির এমন ভাঙাচোরা অবস্থা সত্ত্বেও আজও সেটি ভালোভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার লক্ষ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ভাঙাচোরা অংশে কিছু ইট-বালু ফেলা হয়েছে মাত্র। পূবাইল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কটি ভালোভাবে সংস্কার না হওয়ায় এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে আশার বাণী শোনালেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির ইছালী ব্রিজ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার একটি প্যাকেজ এবং ইছালী ব্রিজ থেকে পূবাইল কলেজ গেট পর্যন্ত চার কিলোমিটার-এর অপর একটি প্যাকেজের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সড়কের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে সড়ক ৬০ ফিট প্রশস্তকরণসহ কার্পেটিং ও আরসিসি। এছাড়া সড়কের উভয় পাশে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে পুরো সড়কটির উন্নয়নব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, সড়কটির উন্নয়নের জন্য সার্ভে কাজ চলমান রয়েছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে সড়কটির উন্নয়নকাজ শেষ করার কথা রয়েছে।