বিজ্ঞানীরা প্রকৃতিজাত তিন রকমের হাইড্রোজেন আইসোটোপ খুঁজে পেয়েছেন আর প্রতিটিই অক্সিজেনের সঙ্গে সমাবন্ধনক্ষম। সুতরাং, আমরা তিন ধরনের পানির কথা ভাবতে পারি। প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম পানি যথাক্রমে, H₂O, D₂O ও T₂O।
আবার ‘মিশ্র’ পানির অস্তিত্বও সম্ভব, যেমন প্রোটিয়াম ও ডিটেরিয়ামের অথবা ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়ামের একেকটি পরমাণু সহযোগে তৈরি অণুবিশেষ। এতে পানির সংখ্যা আরও বাড়বে: HDO, HTO এবং DTO। কিন্তু পানির অক্সিজেনেও তিন রকমের আইসোটোপের মিশ্রণ রয়েছে: অক্সিজেন-১৬, অক্সিজেন-১৭ ও অক্সিজেন-১৮।
প্রথমটিরই সর্বাধিক সংখ্যাধিক্য। রকমারি এই অক্সিজেনের ভিত্তিতে পানির তালিকায় আরও ১২টি সম্ভাব্য প্রকার যুক্ত হতে পারে। নদী কিংবা হ্রদ থেকে এক বাটি পানি নেওয়ার সময় আপনি নিশ্চয়ই এতে আঠারো রকম পানির অস্তিত্ব সন্দেহ করেন না।
তাই পানি যেখান থেকেই আসুক তা-ও নানা অণুর মিশ্রণ এবং সবচেয়ে হালকা আর ভারিটি যথাক্রমে H₂O16 এবং T2O18। রসায়নবিদরা আঠারো রকম পানিই এখন সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ অবস্থায় আলাদা করতে পারেন। হাইড্রোজেন আইসোটোপগুলি স্বধর্মে পরস্পর থেকে স্পষ্টতই আলাদা।
কিন্তু বিভিন্ন প্রকার পানি? তারাও কমবেশি আলাদা বৈকি! তাদের ঘনাঙ্ক, হিমাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন। আর সেই সঙ্গে প্রকৃতির রাজ্যে বিভিন্ন প্রকার পানির আপেক্ষিক পরিমাণ সর্বদা ও সর্বত্রই আলাদা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।