একটি নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে, পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রটি সম্প্রতি ঘূর্ণন বন্ধ করে দিয়েছে। সম্ভবত এটির বিপরীত প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। তার মানে কেন্দ্রটি এখন বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করছে।
পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘূর্ণনের চক্র এর বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এরপর তা বিপরীত দিকে ঘুরতে পারে। মূলত ভূতাত্ত্বিক নানা ঘটনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এরকম অবস্থা হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, এ বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। পৃথিবীর কেন্দ্রের রিভার্স স্পিনিং এর কারণে কোন ক্ষতি হবে না। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার এবং মানব জীবনের উপর তা কোন হুমকি নিয়ে আসবে না।
এটি আমাদের গ্রহের তুলনায় বিভিন্ন গতিতে এবং দিকে ঘুরতে পারে। তবে এটির স্পিনিং কতটা দ্রুত হয় এবং সময়ের সাথে পরিবর্তনের বিষয়ে এখনো অনেক গবেষণা করা বাকি।
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোর নিয়ে বিজ্ঞানীদের কাছে খুব বেশি তথ্য নেই। তবে ক্ষতিকর বিকরণ সহ অনেক কিছু থেকে পৃথিবীকে প্রতিরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কোর এর ভূমিকা রয়েছে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন গবেষক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোর নিয়ে এ আশ্চর্যজনক তথ্য পান। সর্বশেষ এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭০ সালে। গবেষক Yi Yang এবং Xiaodong Song মনে করেন যে, অভ্যন্তরীণ কোর প্রায় ঘূর্ণন বন্ধ করে দিয়েছে।
গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ কোর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভবিষ্যতে পাওয়া সম্ভব হবে। এ ঘূর্ণণের প্যাটার্ন কেমন তা নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা চলবে।
গবেষক Xiaodong Song তরঙ্গ অধ্যায়ন করে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেছেন। গবেষকরা তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন মডেলের সাহায্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আরো গুরুত্বপূর্ণ ডাটা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।