সিংহাসন ও ক্ষমতার লড়াই, রক্তাক্ত যুদ্ধ, ড্রাগনের অগ্নিকাণ্ড এসব কাহিনী নিয়ে ১৩ বছর আগে ২০১১ সালে টিভি সিরিজে ঝড় হয়ে এসেছিল গেম অফ থ্রোনস। ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনেক রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হয়েছে এ দুর্দান্ত টিভি সিরিজটি। পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে টিভি সিরিজের ইতিহাসের নতুন রেকর্ড।
বিশ্বাসঘাতকতা, যৌনতার উস্কানি, অবৈধ সম্পর্ক, ক্ষমতার লড়াই সব ধরনের উপাদান সংযুক্ত ছিল এ গল্পে। এক গোটা প্রজন্ম এটির পরবর্তী এপিসোড রিলিজ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতো। টিভি সিরিজে উইন্টারফেলের চরিত্রকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
টিভি সিরিজটিতে অনেক কাল্পনিক এবং রহস্যময় গল্প এবং চরিত্রের উপস্থাপন দেখা যায়। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, প্রাচীন ইংল্যান্ডের অনেক কাহিনীর সাথে এর গল্পের মিল রয়েছে। প্রাচীন গ্রিস বা মঙ্গলীয় গোষ্ঠীদের সাথেও তার মিল দেখা যায়।
গেম অফ থ্রোন্সের কিছু ঘটনার সাথে বাস্তব জগতের মিল পাওয়া যায়। সিংহাসনকে কেন্দ্র করে মূল গল্প রচিত হলেও ভালবাসার অনন্য স্টোরি এটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে। পরিকল্পনা করা হয়েছিল যে বাকি ১৩টি পর্ব তিনটি সিনেমা হিসেবে নিয়ে আসা হবে।
তবে এ পরিকল্পনা বাদ দিয়ে সিরিজটির গল্পের পরবর্তী অংশ টেলিভিশনের পর্দায় নিয়ে আসা হবে। এ সিরিজের ১৪ জন চরিত্র হ্যারি পটারের গল্পে অভিনয় করেছেন। সিরিজটিতে যে মূল সিংহাসন দেখানো হয় তা বানাতে সময় লেগেছিল দুই মাস। একটি ভাষা তৈরি করা হয়েছে যার শব্দ সংখ্যা ৩০০০ এর মত হবে।
প্রতিটি পর্ব নির্মাণের পেছনে ছয় মিলিয়ন ডলার বাজেট নির্ধারিত ছিল। তুরস্কের সেনাবাহিনীর জন্য গেম অফ থ্রোনস দেখা নিষেধ করা হয়েছিল। প্রথম চার পর্বে ১৩৩ জন চরিত্রকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পাইরেটেড ডাউনলোড হয়েছে ‘গেম অব থ্রোনস’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।