আমেরিকান তিনি শিকারি জাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তর দিকে অভিযান চালানোর সময় এক বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হয়। যেমন তিনি শিকার 58 শতাংশ কমে যায়। নির্দিষ্ট প্রজাতির তিমি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। যেমন শিকারীর হাত থেকে বাঁচতে স্পার্ম তিমি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এই স্পার্ম তিমি প্রতিরক্ষা হিসেবে বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে। এভাবে দল বেঁধে চলার কারণে তারা দুর্বল সদস্যকে রক্ষা করতে পারে। এই আচরণ তাদের শিকারী জাহাজ থেকেও বাঁচাতে সাহায্য করে। উত্তর ও প্রশান্ত অঞ্চলের তিমিরা নতুন পরিবেশের সাথে এভাবে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল।
যারা এখনো শিকারের সাথে যুদ্ধে সম্মুখীন হয়নি তারা স্রোতের সাথে মিশে যায় এবং নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। এই ঘটনা থেকে বিজ্ঞানীরা অনুধাবন করেন যে স্পার্ম তিমি একে অপরকে প্রতিরক্ষামূলক কৌশল অর্জনে সহায়তা করে থাকে।
এ বিশেষ প্রজাতির তিমি শিকার করা হয় তেলের জন্য। মোমবাতি তৈরি করার জন্য এ বিশেষে তেল খুব কাজে দেয়। তিনি অভিনব কৌশল অবলম্বন করে প্রজাতির অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
পৃথিবীতে যত প্রাণী রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বড় মস্তিষ্ক রয়েছে তিমির। মানুষের মস্তিষ্ক থেকে তাদের ওজন পাঁচ গুণ বেশি। তারা শিকারের জন্য সমুদ্রের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যায় এবং এভাবে জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে ফেলে।
সূর্যের আলোর নাগালের বাইরে ১২০০ মিটার পর্যন্ত ডুব দিতে পারে স্পার্ম তিমি। সেখানে তারা শব্দ তৈরি করে যোগাযোগ করে। 270 ডেসিমেল পর্যন্ত তারা শব্দ তৈরি করতে পারে। বেশিরভাগ স্পার্ম তিনি সামাজিক ও পারিবারিক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বাস করে।
শুক্রানু তিমি মোর্স কোড এর মত প্যাটার্ন যুক্ত সংকেত ব্যবহার করে যাকে কোডাস বলা হয়। এটি সামাজিক পরিচয় চিহ্নিতকারী হিসেবে কাজ করে বলে মনে করা হয়। গবেষকরা এ ধরনের কয়েক ডজন স্বতন্ত্র কোড শনাক্ত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।