বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাকাশে অসংখ্য মহাকাশীয় বস্তুর আবাসস্থল। এগুলোর অনেক কিছুই এখনও শনাক্ত সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে অনেক গ্রহাণু। এসব গ্রহাণু আমাদের সৌর জগতের প্রাথমিক পর্যায়ের ধ্বংসাবশেষ। যে সৌর জগত প্রায় ৪৬০ বছর আগে তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই পাথুরে, বায়ুহীন বস্তুগুলোর উপস্থিতি পাওয়া যায় মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝামাঝি বেল্টে। তবে অনেক সময় সেগুলো পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে। এসব গ্রহাণু সৌর জগতে ঘুরে বেড়ায় এবং মাঝে মধ্যে পৃথিবীসহ অপর গ্রহের কাছাকাছি চলে আসে বা বিধ্বস্ত হয়।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা একটি সতর্কতা জারি করেছে। ‘২০২৩ এফএম’ নামের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে এবং বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এটি পৃথিবীর অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি চলে আসবে।
গ্রহাণুটি ৩৯৩ থেকে ৪৮০ ফুট বিস্তৃত হতে পারে। যা প্রায় একটি ৪০ থেকে ৮০ তলা বহুতল ভবনের সমান। অবশ্য পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুটির সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে না।
আশার কথা হলো পৃথিবীর অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি আসার পরও এটি ২৯ লাখ কিলোমিটার দূরে থাকবে। যা পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্বের তুলনায় সাড়ে সাতগুণ। পৃথিবীর দিকে গ্রহাণুটির এগিয়ে আসার গতি প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ হাজার কিলোমিটার। পূর্ণ চাঁদের কক্ষপথ থেকেও অনেক দূরে থাকবে এটি।
নাসা হাজারো গ্রহাণুর গতিবিধিতে নজর রাখে। কারণ গ্রহাণুর কক্ষপথে সামান্য বিচ্যুতি পৃথিবীর সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। জ্যোতির্বিদরা নিয়মিত এসব কক্ষপথগুলো পর্যবেক্ষণ ও পুনঃগণনা করছেন। সৌভাগ্যের বিষয় হলো অন্তত আগামী ১০০ বছরের মধ্যে কোনও গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে না।
মার্চ মাসে জ্যোতির্বিদরা একটি অলিম্পিক সুইমিং পুলের মতো আকারের একটি গ্রহাণু শনাক্ত করেছেন। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২৩ ডিডব্লিউ’। ২০৪৬ সালের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পৃথিবীর সঙ্গে এটির সংঘর্ষের আশঙ্কার অনুপাত ১:৬০০।
সূত্র: স্পেস ডট কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।