বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে? অনেকের কাছে এই প্রযুক্তির অগ্রগতি আশঙ্কা তৈরি করলেও কিছু বিজ্ঞানীদের মতে বিষয়টি ইতিবাচক। ইতিমধ্যে এআই নিয়ে হন্তদন্ত হতে দেখা গিয়েছে বিশ্বের তাবড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে। গুগল থেকে মাইক্রোসফট নতুন ইঁদুর দৌড়ের যুগে প্রবেশ করেছে ছোট বড় সব কোম্পানিই।
খবরের শিরোনামে এখন শুধুই এআই। এই প্রযুক্তি নিয়ে যতটা না আশা তার চেয়ে বেশি চিন্তা। চিন্তা চাকরি যাওয়ার! উপার্জনের দরজা বন্ধ করে দিতে চলেছে কৃত্রিম কম্পিউটার সেই ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে অনেকের। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বড় দাবি করেছেন ব্রাজিলিয়ান গবেষক বেন গোয়ের্টজেল।
সামাজিক মাধ্যমে তাঁর পরিচয় এআই গুরু নামে। এদিন তাঁর মুখেই এই আশঙ্কার কথা শোনা গেল। তাঁর কথায়, বিশ্বে ৮০ শতাংশ চাকরি দখল করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ৫৬ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী একাধারে গবেষক, গণিতবিদ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা সিঙ্গুলারিটিনেট-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার।
গত সপ্তাহে ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত বিশ্বের বৃহত্তম বার্ষিক প্রযুক্তি সম্মেলনে যোগ দেন এই বিজ্ঞানী। সেখানেই সংবাদমাধ্যম এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এআই-এর ভবিষ্যৎ গণনা করলেন গোয়ের্টজেল। সাবধানবাণীর পাশাপাশি এআই নিয়ে ইতিবাচক চিন্তাধারা বজায় রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বিজ্ঞানীর সোজা-সাপ্টা ধারণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখনো মানুষের মত জটিল জিনিস সমাধান বা আবিষ্কার করার জন্য তৈরি নয়। কারণ সেগুলি যে ট্রেনিং ডেটা পায় সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেয়। সুতরাং এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ দেখছি না।
বিজ্ঞানীকে যখন এআই এর ভুয়া তথ্য নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমাজে ভুয়া তথ্য ছড়াতে পারে এ কথা ঠিক। অনেকের মতে এই কারণেই নাকি প্রযুক্তিটি নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। যা আমার কাছে অবাক করার মত। বর্তমানে ইন্টারনেটেও অনেক ভুয়ো তথ্য সরবরাহ হয়। তাহলে আমরা কেন ইন্টারনেট বন্ধ করছি না!
আমার মতে, আমরা একটি স্বাধীন সমাজ তৈরি করতে চাইছি। যেখানে ইন্টারনেট যখন নিষিদ্ধ করা হয়নি তখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও নিষিদ্ধ করা উচিত নয়।
এআই নিয়ে চৰ্চায় মেতে উঠেছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু তার সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কতটা গভীরে গেছি আমরা। বরং তার হুমকি নিয়েই সরব হতে দেখা গেছে। এআই মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো যেতে পারে বল মত বেন গোয়ের্টজেলের। বিজ্ঞানী জানান, বর্তমানে বেশিরভাগ সংস্থা এআইতে বিনিয়োগ করছে কারণ তারা লাভের মধু পেতে চায় তাই। নাকি মানব কল্যাণ।
সূত্র: এই সময়
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি বিজ্ঞাপন ঘিরে চারপাশে হৈচৈ (ভিডিও)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।