জুমবাংলা ডেস্ক : পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এতে দেশের বাজারে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যাবধানে অতি প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ কিন্তু ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করে ৪৫ টাকায় কিনছেন পেঁয়াজ।
সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি ট্রাকের কাছে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথমে পাঁচটি স্পটে এ কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে তা বাড়িয়ে আজ (সোমবার) থেকে ৩৫টি ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। একজন ডিলার কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে প্রতিদিন এক হাজার কেজি (এক টন) পেঁয়াজ বিক্রি করবেন।’
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের পাশাপাশি দুর্গাপূজা উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে তেল লিটার ৮৫ টাকা, চিনি কেজি ৫০ টাকা এবং মসুর ডাল ৫০ টাকায় বিক্রি করছে টিসিবি।
পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে টিসিবির এ কর্মকর্তা বলেন, পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা দুই জাহাজ পেঁয়াজ ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই এ পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তখন দাম কমবে।
টিসিবি সূত্র জানায়, আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, সৈনিক ক্লাব, জুরাইন পোস্তগোলা, মিরপুর ৬০ ফিট, আনসার ক্যাম্প, মোহাম্মদপুর, বছিলা, নিউমার্কেট, ছাপড়া মসজিদ, আজমপুর, উত্তরা, রামপুরা, বনশ্রী, মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, দিলকুশা বক চত্বর, কামরাঙ্গীরচর, রায়েরবাজার বদ্ধভূমি, মিরপুর-১০ ও কচুক্ষেত এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ৩৫টি ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে।
এদিকে মতিঝিলে টিসিবির ডিলার নবী মিয়া বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ক্রেতার ভিড় বেশি। আজ পেঁয়াজের পাশাপাশি তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করছি। তবে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। এক টন পেঁয়াজ এনেছি। সকাল থেকে বিক্রি করছি। পেঁয়াজ বিক্রি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এদিকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণায় ২৪ ঘণ্টায় দেশের বাজারে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। এতে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আলহাজ ভান্ডারের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূ্ল্য তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়। পরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে কেজিপ্রতি দাম বেড়ে ৬০-৬৫ টাকায় ওঠে। এতদিন এ দরেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। গতকাল সকালেও ওই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বিকেলে যখন বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর এলো ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। তারপর থেকেই দাম বাড়তে থাকে। আজ আমদানি করা পেঁয়াজ (ভারত) পাইকারি বিক্রি করছি ৭৭ থেকে ৮২ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৭৫-৭৭ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৮০-৮৫ টাকা।
তিনি জানান, সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। মিয়ানমার-তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এসব পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।