জুমবাংলা ডেস্ক: আগামী বছর পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম ৫৫ টাকার নিচে নামবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা তুরস্ক, ইজিপ্ট, চায়না ও মায়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদিন করা হচ্ছে। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত আনতে খরচ পড়ে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা। সেটা ৬০ থেকে ৬৫ টাকার নিচে খুচরা বাজারে বিক্রি করা যাবে না। আমার ধারণা আগামী বছর পর্যন্ত পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজির নিচে দাম হবে না বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্মামীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
পেঁয়াজে ভারতের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে চান জানিয়ে মন্ত্রী বলেলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে আমরা পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। আমাদের ও ভারতে একই সঙ্গে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। গতবার ভারত পেঁয়াজ দেয়া বন্ধ করে এবং এবারও বন্ধ করেছে। আমাদের দেশে যখন পেঁয়াজ ২৫০ টাকা হয়েছে তাদেরও ১৫০ রুপি হয়েছিল, যেটা তাদের দেশে হয় না সাধারণত। তবে আমাদের যে শিক্ষা হয়েছে যে তারা নিজেদের প্রয়োজনে যেকোন সময় পেঁয়াজ দেয়া বন্ধ করতে পারে। তাই আমরা সেলফ সার্ভিসে নজর দেবো। যাতে ভারত বা কোন দেশের প্রতি খুব বেশি নির্ভরশীল হতে না হয়। গতবার মহারাষ্ট্রের নাসিকে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজে প্রভাব পড়েছে, এবারও সেই প্রভাব রয়েছে।
টিপু মুশী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য আগামী তিন বছরে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া। ভারত তাদের লোকজনকে না খাইয়ে আমাদের পেঁয়াজ পাঠাবে কেন। তবে তাদের কাছে অনুরোধ করেছি বন্ধের একমাস আগে যেন অন্তত আমাদের জানায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৮ থেকে ৯ লাখ টন পেঁয়াজ কম পড়ে। এই সময়ই সেই পেঁয়াজ আমরা আনি, কিন্তু ভারতেরটা এখন বন্ধ আছে। ভারতের থেকে যেটা আনি সেটা এখন টার্কি, ইজিপ্ট, মিয়য়ানমার, পাকিস্তান থেকে আনতে হচ্ছে। তবে আমরা ৬০ টাকার নীচে দাম রাখতে চাচ্ছি। নইলে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে যে পেঁয়াজ উৎপাদন করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আশা করছি দুই তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজটা উৎপাদন করতে পারব। তাহলে মাঝামাঝি সময়ে যে সঙ্কট সেটা কাটিয়ে উঠা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।