স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্ব জয় করে ঘরে ফিরেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়রা। আগের দিন তাদের রীতিমতো বীরোচিত সম্মান দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত দুই বছর ধরে তাদের গড়তে অনেক শ্রমই দিয়েছে দেশের ক্রীড়া সংস্থাটি। কিন্তু তাদের আগেও এ খেলোয়াড়দের উঠে সাহায্য করেছেন অনেকেই। যারা রয়ে গেছেন আড়ালে। বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করলেন তাদের। ধন্যবাদও জানাতে ভুল করেননি অধিনায়ক।
যদিও মাশরাফি তার নিজ এলাকার স্থানীয় কিছু কোচদের স্মরণ করেছেন। কারণ যুব বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড়দের একজন অভিষেক দাস উঠে এসেছেন তার এলাকা থেকেই। ফাইনাল জয়ের অন্যতম নায়কও বটে এ তরুণ। ভারতকে ১৭৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার মূল কারিগরই ছিলেন তিনি। ভারতীয় শিবিরে আঘাতের শুরুটা করেছিলেন তিনি। একাই তুলে নিয়েছিলেন ৩টি উইকেট। তার সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন মাশরাফি। জানেন অভিষেক উঠিয়ে আনতে স্থানীয় কোচদের ভূমিকা।
তাদের একজন নড়াইল জেলার স্থানীয় বেসিক একাডেমির কোচ সৈয়দ মঞ্জুর তৌহিদ তুহিন। স্থানীয় খেলোয়াড়দের ক্রিকেটের হাতেখড়ি দিয়ে থাকেন তিনিই। অভিষেকের হাতেখড়িও ছিল দিয়েছিলেন তিনি। আর নড়াইলের আতাউর রহমান ক্রিকেট একাডেমীর কোচ সঞ্জয় বিশ্বাস সাজু করেছেন পরবর্তী পরিচর্যা। আর নড়াইল জেলাভিত্তিক কোচ ইমরুলও সবশেষ পরিচর্যার পর এনে দিয়েছেন বিসিবির তত্ত্বাবধানে। তাতেই অভিষেকের অভিষেক হয়ে ওঠা হয়েছে।
মাশরাফি এ কোচদের স্মরণ করে যেন সকল তরুণদের গড়ার পেছনের কারিগরদের স্মরণ করলেন। বৃহস্পতিবার নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুকে তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘একজন একজন করে আকবর, তামিম, ইমন, রাকিবুল, শরিফুল, অভিষেক গড়ে তুলতে তাদের পরিবারের সাথে আরও অনেকের স্যাক্রিফাইস জড়িয়ে থাকে। অভিষেক বাড়ি ফিরেছে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করে, বাড়ি ফিরেছে নড়াইলবাসিকে গৌরবান্বিত করে, ছুটে চলো তোমরা অবারিত, দেশকে নিয়ে যাও অনন্য উচ্চতায়। তুহিন কাকা, সঞ্জিব বিশ্বাস সাজু, ইমরুল ধন্যবাদ আপনাদের, আপনাদের জন্য আজ এতো স্বপ্ন দেখে সবাই। আমার চোখে আপনারা এ জাতির অদেখা নায়ক। সত্যি বলছি, আমি এটাই মনে করি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।