রাতের খাবারের টেবিলে পেট ভরে খাওয়ার পরও মিষ্টির জন্য প্লেট বাড়িয়ে দেয় অনেকে। ভরা পেটে মিষ্টির জন্য প্রবল এই আগ্রহকে ব্যাখ্যা করা যায় বিজ্ঞানের ভাষায়। ‘নির্ধারিত স্বাদে তৃপ্তির আস্বাদ’—এমন মজার শব্দে মানুষের এই প্রবণতার ব্যাখ্যা দেন গবেষকেরা। একই ধরনের খাবারে অভ্যস্ত হয়ে গেলে নতুন খাবারে মুখের স্বাদ ফিরে পাওয়ার জন্য মানুষ এমন করে বলে ধারণা গবেষকদের।
অভ্যাসের কারণেই ধীরে ধীরে খাবারভেদে বিভিন্ন অনুভূতির সৃষ্টি হয় মানুষের মনে। একটু মিষ্টি বা ফল জিবে আলাদা স্বাদের অনুভূতি তৈরি করে। পেট ভরার পরও শেষ পাতের সামান্য ফল বা মিষ্টিই আসল স্বাদ বা পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়। এই অতিরিক্ত খাবার শুধু স্বাদে নয়; বরং পুষ্টিতেও বৈচিত্র্য আনে।
দ্বিতীয়বার ভাত গরম করা কি নিরাপদ?
অনেকের ধারণা, ভাত দ্বিতীয়বার গরম করলে তা খাওয়ার উপোযোগী থাকে না। আসলে ঠান্ডা করলেই ভাতের গুণাগুণ কিছুটা নষ্ট হয়। চালে Bacillus cereus নামের এক ব্যাকটেরিয়ার ডিম্বাণু থাকে। এগুলো ভাত রান্না কিংবা গরম করার সময় কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। কিন্তু ঠান্ডা ভাত ফেলে রাখলে এ ডিম্বাণু থেকে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। ধীরে ধীরে ব্যাকটেরিয়াগুলোর সংখ্যা বেড়ে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে ভাতে।
ফলে ভাত খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়। তবে ভাত বারবার গরম করেও এই ডিম্বাণুগুলো ধ্বংস করা যায় না। কারণ এর শক্ত আবরণ ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপেও নষ্ট হয় না। সে ক্ষেত্রে গরম ভাত ঠান্ডা করে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।