লেখাপড়া করে অথচ পেন্সিল ব্যবহার করতে হয়নি, এমন কে আছে? মনে হয় কেউ নেই! বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পেন্সিলের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। এমনকি মহাকাশ ভ্রমণের সময়ও মহাকাশচারীদের সঙ্গী কলম নয়, পেন্সিল। মহাকাশে নভোচারীদের পেন্সিল ব্যবহার নিয়ে রুশ বনাম মার্কিনীদের নিয়ে মজার একটা কৌতুকও প্রচলিত আছে।
ওই যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা একটা উন্নতমানের কলম বানিয়েছিল। উদ্দেশ্য, মহাকাশের শূন্য মহাকর্ষে যাতে কিছু লেখা যায়। কিন্তু সে তুলনায় রুশ বিজ্ঞানীরা এই সমস্যাটার সমাধান করেন প্রায় বিনা খরচে। কারণ তাঁরা কলমের বদলে ব্যবহার করেন পেন্সিল।
যাহোক, কত ধরনের পেন্সিল যে তৈরি হচ্ছে প্রতিবছর! তবে ষড়ভুজাকার পেন্সিলের ছড়াছড়ি চারিদিকে। হয়তো খেয়াল করেছেন, অধিকাংশ পেন্সিলের বাইরের গঠন ষড়ভুজাকার। কিন্তু তার পেছনের কারণ কী? আসলে উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য পেন্সিল গোলাকার না করে ষড়ভুজাকার করা হয়।
হিসেব করে দেখা গেছে, গোলাকার পেন্সিলের তুলনায় ষড়ভুজাকার পেন্সিলে কম খরচ হয়। একই পরিমাণ কাঠে ষড়ভুজাকার পেন্সিল তৈরি করা যায় ৯টি, অথচ গোলাকার পেন্সিল তৈরি করা যায় ৮টি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ষড়ভুজাকার পেন্সিল তৈরির সুবিধা।
এ তো গেল অর্থনৈতিক দিক। আরও একটা সুবিধা হচ্ছে, গোলাকার পেন্সিল সহজে টেবিল থেকে গড়িয়ে পড়ে যায়। কিন্তু ষড়ভুজাকার পেন্সিল টেবিলে গড়ায় কম। ফলে নষ্টও হয় তুলনামূলক কম। এই দুইয়ে মিলেই ষড়ভুজাকার পেন্সিলের জয়জয়কার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।