স্পোর্টস ডেস্ক : বেশ ঘটা করেই কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের নামে ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামের নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবাদের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো রিও ডি জেনেরিওর রাজ্য সরকার।
গত মার্চে রিও ডি জেনেরিওর রাজ্য আইনসভায় মারাকানা স্টেডিয়ামের নাম বদলানোর প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, স্টেডিয়ামের নতুন নাম হবে ‘এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো- রেই পেলে স্টেডিয়াম’।
‘এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো’ হচ্ছে ৮০ বছর বয়সী কিংদবন্তির পুরো নাম আর ‘রেই’ মানে ‘পর্তুগালের রাজা’। নামকরণ চূড়ান্ত হওয়ার আগে রিও ডি জেনেরিওর রাজ্য গভর্নরের অনুমোদন লাগার কথা ছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে ভেটো দিয়েছেন রাজ্য গভর্নর ক্লাউদিও কাস্ত্রো।
প্রতিবাদকারীদের দাবি, রিওর বাসিন্দা নন এমন কারো নামে মারাকানার নামকরণ করা ঠিক হবে না। তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন পেলেন ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী দলের সতীর্থ জেরসন এবং মারিও ফিলহোর নাতিও।
ব্রাজিলের জার্সিতে ৩টি বিশ্বকাপজয়ী পেলে সান্তোসের হয়ে ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে ১৯৬৯ সালে এই মারাকানায় ক্যারিয়ারের ১ হাজারতম গোলটি করেন। এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। এছাড়া ২০১৬ অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও হয় এখানেই।
বলা হয় মারাকানায় অনুষ্ঠিত উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের মধ্যকার ১৯৫০ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি নাকি গ্যালারিতে বসে প্রায় ২ লাখ মানুষ উপভোগ করেছেন। ওই ম্যাচটি জিতে শিরোপা জিতে নেয় উরুগুয়ে। বর্তমানে অবশ্য এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৭৮ হাজার ৮৩৮।
শুরুতে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছিল মারিও ফিলহো নামের এক সাংবাদিকের নামে। ’৪০ এর দশকে এই স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য লবিং করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে মারাকানা নামের এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সেই নামেই পরিচিতি পায় স্টেডিয়ামটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।