বর্তমান এই দ্রুত গতির বিশ্বে কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ আমরা এমন কিছু দেশ নিয়ে কথা বলবো যেগুলো ২০২৪ সালে কর্ম ও জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় হতে পারে। এক্ষেত্রে রিমোট ওয়েবসাইটের ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স ইনডেক্স ব্যবহার করা হয়েছে সূচক হিসেবে।
ইউরোপের দেশগুলো মানবকল্যাণের সূচকগুলোতে সবসময় তালিকার ওপরের দিকে থাকে এত জানা কথা। তাই এই তালিকায়ও ১০ টি দেশের মধ্যে ৬ টিই ইউরোপের। তালিকায় চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান যেখানে ৫৫ সেখানে বাংলাদেশের স্থান ৫৪। অন্যদিকে এশিয়ার দুই পরাশক্তি ভারত ও চীনের অবস্থান যথাক্রমে ৪৮ ও ৪৯ তম।
দশম স্পেন
তালিকার ১০ম স্থানে আছে স্পেনের শহর মাদ্রিদ। ক্লাব ফুটবলের জন্য বিখ্যাত শহরটিতে গড়ে একজন ব্যক্তি কাজ করেন ৩৬.৬৭ ঘণ্টা। স্পেনের পয়েন্ট ৭০.৬।
অষ্টম অস্ট্রেলিয়া
৭১.৩৫ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শহর ক্যানবেরা অবস্থান করছে ৮ম স্থানে।
নবম নরওয়ে
সর্বমোট ৭০.৮৫ পয়েন্ট নিয়ে ৯ম স্থান দখল করে নিয়েছে ‘নিশীথ সূর্যের দেশ’ নরওয়ে। উত্তর মেরুর দেশটি প্রায় সময়ই মানব উন্নয়নমূলক বিভিন্ন সূচকে প্রথম সারিতে অবস্থান করে। যেমন বিশ্বে সুখী দেশের তালিকায় নরওয়ের অবস্থান ষষ্ঠ। এছাড়া দেশটির রাজধানী অসলোতে একজন ব্যক্তি সপ্তাহে গড়ে ৩৩.৬৮ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন।
সপ্তম ফিনল্যান্ড
বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় ১ম স্থানে থাকলেও ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স ইনডেক্সে ফিনল্যান্ডের অবস্থান সপ্তম। ফিনল্যান্ডের শহর হেলসিংকিতে সপ্তাহে একজন ব্যক্তি কাজ করেন ৩৪.৪৩ ঘণ্টা।
পঞ্চম কানাডা
৭২.৭৫ স্কোর নিয়ে তালিকায় ৫ম স্থানে আছে কানাডার রাজধানী টরন্টো। উত্তর আমেরিকার দেশটিতে একজন ব্যক্তি গড়ে কাজ করেন ৩২.১ ঘণ্টা।
ষষ্ঠ জার্মানি
তালিকায় আবারও দেখা মিলল ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানির। জার্মানির রাজধানী বার্লিন শহরের স্কোর ৭১.৮৪। গড়ে এই শহরে একজন ব্যক্তি কাজ করেন ৩৪.২৪ ঘণ্টা।
চতুর্থ ডেনমার্ক
বেলজিয়ামের সমান পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছে ডেনমার্কের শহর কোপেনহেগেন। যেখানে একজন চাকরিজীবী গড়ে সপ্তাহে ৩৩.৯১ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন। অন্যদিকে বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় ৭.৫৮ স্কোর নিয়ে ২য় স্থানে অবস্থান করছে ডেনমার্ক।
তৃতীয় বেলজিয়াম
তালিকার ৩য় অবস্থানে আছে বাফার স্টেট বেলজিয়ামের শহর ব্রাসেলস। এই শহরের স্কোর ৭৩.৪৫। গড়ে ব্রাসেলসে একজন কর্মচারী প্রতি সপ্তাহে ৩৫ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন।
দ্বিতীয় হয়েছে আয়ারল্যান্ড
১০০-র মধ্যে সর্বমোট ৭৭.৮৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে আয়ারল্যান্ডের শহর ডাবলিন। সেখানকার কর্মঘণ্টা চাকরিজীবীদের জন্য ভালো। এছাড়া দেশটি টানা কয়েক বছর ধরে গ্লোবাল পিস ইনডেক্সের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
প্রথম স্থানে নিউজিল্যান্ড
২০২৪ সালের রিমোটের ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স ইনডেক্সের মতে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন শহর আছে তালিকার প্রথম স্থানে। এই দেশের কর্মস্থলের পরিবেশ ও কর্মঘণ্টা চাকরিজীবীদের জন্য সেরা। নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১০০-র মধ্যে ৮০.৭৬ পয়েন্ট। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নিরাপদ পরিবেশের জন্য দেশটি বিশ্বের শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ৪র্থ স্থান দখল করে নিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।