জুমবাংলা ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে মানুষের মধ্যে আগ্রহ না থাকলেও, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় বিন্দুমাত্র কমতি নেই। প্রায় সব প্রার্থী নিজেদের মতো ভোটের মাঠে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমনকি প্রচারের অংশ হিসেব সড়কের পাশেই বড় বড় ব্যানার ও পোস্টার লাগাচ্ছেন ওই সব প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের অধিকাংশ কর্মী-সমর্থকরা বেকার থাকলেও বর্তমানে তাদের সবাই নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর এর মাধ্যমে তারা বাড়তি কিছু অর্থ আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের নির্বাচনী কার্যালয় জেলা শহরের বিডিআর বাজার (বাতেন খাঁ) এলাকায়। সেখানে নজর কাড়বে তার কর্মী-সমর্থকদের কর্মযজ্ঞ। তারা মূলত পোষ্টার লাগাতে যা-যা করা দরকার তার সবই করছেন।
জয়নাল আবেদিন নামের এক সমর্থক বলেন, ‘অধিকাংশ সময় বেকার বসে থাকতে হয়। কাজ পাওয়া যেতো না। কিছু কাজে শ্রম বেশি হলেও মজুরি কম পাওয়া যায়। এখন এই নির্বাচনের বদৌলতে কাজ পেয়েছি। কিছু টাকা আয়ের সুযোগ হয়েছে।’
শামিম রেজা নামের আরেক কর্মী বলেন, ‘সারাদিন বেকার ঘুরে বেড়ায়। বাবা-মার কাছ থেকে হাত খরচ নিতে হয়। মাঝেমধ্যে খারাপও লাগে কাজ না করে পরিবারের কাছে টাকা চাইতে। এখন নির্বাচন এসেছে। কাজ পেয়েছি। দৈনিক মজুরি পাই। অন্তত পকেট খরচ হয়ে যায়।’
পোস্টার ও ব্যানার তৈরির সার্বিক দায়িত্ব থাকা সুমন। বলেন, ‘পোষ্টারে আঠা লাগানো, সুতায় পোষ্টার আটকানোসহ আরও অনেক কিছুর কাজ করা হচ্ছে। ২৫-৩০ জন তরুণ এই কাজ করছেন। তাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন কাজ অনুসারে মজুরি দিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিদিন তারা ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা মজুরি পান।’
সংসদ সদস্য প্রার্থী সামিউল হক লিটনের অনুরাগী তানভীর হোসেন প্লাবন বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার জন্য আমরা পোষ্টার টাঙানোর জন্য কিছু কর্মী নিয়োগ করেছি। তারা কাজ করছে প্রতিনিয়ত। তাদের কাজের মজুরি দিনে দিনে পরিশোধ করা হয়।’
এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওদুদের সমর্থক কর্মীরাও জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন লাগাচ্ছেন।
পোস্টার ও ব্যানার তৈরির সার্বিক দায়িত্ব থাকা সুমন। বলেন, ‘পোষ্টারে আঠা লাগানো, সুতায় পোষ্টার আটকানোসহ আরও অনেক কিছুর কাজ করা হচ্ছে। ২৫-৩০ জন তরুণ এই কাজ করছেন। তাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন কাজ অনুসারে মজুরি দিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিদিন তারা ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা মজুরি পান।’
সংসদ সদস্য প্রার্থী সামিউল হক লিটনের অনুরাগী তানভীর হোসেন প্লাবন বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার জন্য আমরা পোষ্টার টাঙানোর জন্য কিছু কর্মী নিয়োগ করেছি। তারা কাজ করছে প্রতিনিয়ত। তাদের কাজের মজুরি দিনে দিনে পরিশোধ করা হয়।’
এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওদুদের সমর্থক কর্মীরাও জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন লাগাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, সংসদীয় আসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য হানুরুর রশীদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) থেকে একই দলের অপর সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম সম্প্রতি পদত্যাগ করেন। পরে সংসদীয় এ দুটি আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসন দুটিতে তফশীল অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে দুইজন দলীয় প্রার্থীসহ মোট ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভোটের মাঠে আছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুল ওদুদ (নৌকা), বিএনএফের দলীয় প্রার্থী কামরুজ্জামান খাঁন (টেলিভিশন) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) সামিউল হক লিটন (আপেল)। এই তিন প্রার্থীও গণসংযোগ করতে শুরু করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।