প্যাঙ্গোলিনকে আপনি আশ্চর্যজনক প্রাণী বলতে পারেন। এ প্রাণী “স্ক্যালি অ্যান্টিটার” নামেও পরিচিত। এ প্রজাতির প্রাণীর দেহ ক্যারাটিন উপাদান দিয়ে আবৃত থাকে। এজন্য তাদের দেহের আবরণ বেশ শক্ত। মানুষের চুল এবং নখ একই উপাদান দিয়ে তৈরি।
প্যাঙ্গোলিন এশিয়া এবং আফ্রিকায় পাওয়া যায়। তারাই দুনিয়ার একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যা সম্পূর্ণরূপে আঁশ দিয়ে ঢাকা। অবৈধ শিকার এবং পাচারের কারণে এ আকর্ষণীয় প্রাণী আজ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্যাঙ্গোলিন ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এটির দেহের দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটির ওজন ১ থেকে ৩০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। প্যাঙ্গোলিনের অবাক করে দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর কোন দাঁত নেই।
তাদের পায়ের আকার বেশ ছোট, নখ অনেক শক্তিশালী এবং একটি লম্বা লেজ রয়েছে। এটির কোন দাঁত না থাকলেও দীর্ঘ ও আঠালো জিহ্বা রয়েছে। শিকার খুঁজে বের করার জন্য প্যাঙ্গোলিন শক্তিশালী ঘ্রাণশক্তি ব্যবহার করে থাকে।
তাদের দেহে আশঁযুক্ত ক্যারাটিন থাকার কারণে প্যাঙ্গোলিন সুরক্ষা পেয়ে থাকে এবং হুমকি থেকে মুক্ত হয়। এর ফলে শিকারীরা তাদের সহজে আক্রমণ করতে পারে না। প্যাঙ্গোলিনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ অনন্য।
৮ প্রজাতির প্যাঙ্গোলিনের মধ্যে চারটি এশিয়ায় এবং চারটি আফ্রিকায় পাওয়া যায়। এরা বন, তৃণভূমি এবং সাভানা অঞ্চলে বাস করে থাকে। এ প্রজাতির প্রাণীর বেশিরভাগই নিশাচর। তার মানে এরা রাতে সক্রিয় থাকে এবং দিনে বিশ্রাম নেয়।
বাসস্থানের ক্ষতি এবং শিকারের কারণে তাদের জনসংখ্যা দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। তাদের মাংসের জন্য প্যাঙ্গোলিন বেশি পাচার করা হয় এবং শিকার করা হয়ে থাকে।
প্যাঙ্গোলিনের মাংস উপাদেয় খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক দেশে তাদের আশঁ থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। এ প্রজাতির প্রাণী নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের তথ্য অনুযায়ী প্যাঙ্গোলিনের সবকয়টি প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।