আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহনের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিশ্বের দেশগুলো ব্যর্থ হলে এই শতাব্দীতে বৈশ্বিক অর্থনীতির ৬০০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হবে। মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন বিশ্লেষণে এ কথা বলা হয়।
২০১৫ সালের ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ধরে রাখতে জৈবজ্বালানি পোড়ানোর থেকে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে নিজ উদ্যোগে প্রচেষ্টা চালানোর অঙ্গীকার করেছে।
চুক্তিতে বিশ্বের দেশগুলো নিরাপদ তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে কার্বন নিঃসরণ কমাতে ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) হিসেবে পরিচিত নিজস্ব পরিকল্পনা গ্রহনের ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছে।
প্রাক শিল্পায়নের পর থেকে ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বে এখন তীব্র তাপদাহ, খরা, দাবানল,ঝড় এবং সমুদ্র পৃন্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের তাপমাত্রা বেজলাইন ছাড়িয়ে ৩ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়াতে পারে।
জাতিসংঘ বলেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখতে হলে অবশ্যই এখন থেকে প্রতিবছর ৭ শতাংশের বেশি কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে না পারলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে বিপুল। বিশ্বের তাপমাত্রা ২ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখতে পারলে বিশ্বের অর্থনীতি ২১০০ নাগাদ ৩৩৬ থেকে ৪২২ ট্রিলিয়ন ডলার লাভবান হবে। আর বিশ্বের উষ্ণায়ন ঠেকাতে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে ২১০০ নাগাদ বিশ্বের অর্থনীতি ৬০০ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।