আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে প্রকাশ্যে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে এ ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল নিউ ইয়র্ক স্টেইট। কেবল বিশেষ প্রয়োজনে আবেদন জানিয়ে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার নিয়ম ছিল। কিন্তু তা নাগরিকদের বন্দুক সংরক্ষণ অধিকার বিরোধী বলে মতামত দিয়ে, আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দিলো সুপ্রিমকোর্ট। খবর পার্সটুডে’র।
সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত বন্দুক অধিকার সংরক্ষণের পক্ষের লোকজন। তবে স্টেইট আগ্নেয়াস্ত্র বহনে নিজের মতো করে কিছু বিধিবিধান রাখতে পারবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রেসিডেন্ট বাইডেন আদালতের এ রুলিংয়ের নিন্দা ও সমলোচনা করে বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত সাধারণ জ্ঞান ও সংবিধান- দুটোরই পরিপন্থি; এই সিদ্ধান্ত আমাদের সমাজকে আরো গভীর সম্যায় ফেলবে।”
আমেরিকায় সম্প্রতি যে ভয়াবহ বন্দুক সহিংসতার ঢেউ শুরু হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে যখন নানা পর্যায়ে ব্যাপক চেষ্টা চলছে তখন সুপ্রিম কোর্টের এই রায় প্রকাশ হলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রায়ের ফলে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও বন্দুক সহিংসতা থামানোর প্রচেষ্টা হুমকির মুখে পড়লো।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট নিউ ইয়র্কে প্রকাশ্যে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে বেপরোয়া ও নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন ডেমোক্র্যাট দল থেকে নির্বাচিত গভর্নর ক্যাথি হোকুল। তিনি বলেন, বন্দুক হামলায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কষ্ট ভোলার নয়। নিউ ইয়র্কে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের সুযোগ থাকার অর্থ হলো হঠাৎ করে যে কেউ সাবওয়ে, স্কুল কিংবা দোকানে ঢুকে পড়তে পারে, যার কারণে নিউ ইয়র্কারদের জীবন ঝুঁকির মুখ পড়বে। ফেডারেল সরকার যদি আইনের মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেয়া রাজ্য গভর্নরদের নৈতিক দায়িত্ব।
অন্যদিকে, নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, নিউ ইয়র্ক সিটিতে বন্দুক বহনের বিষয়ে যে নিয়ম রয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রুলিংয়ের কারণে তাতে কোনো পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে বন্দুক হামলার ঝুঁকি থেকে সিটি ও স্টেইটের বাসিন্দারা আরো বেশি অনিরাপদ হলো। নিউ ইয়র্কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্দুক সহিংসতার বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে আমলে না নেয়ায়, মানুষের ভবিষ্যত ঝুঁকিতে পড়লো বলে মনে করেন মেয়র এরিক অ্যাডামস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।