আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্য আজও বিজ্ঞানের কাছে অধরা। প্রকৃতির সৃষ্টি অবাক, অনন্ত, অভাবনীয় এবং জটিল রহস্যে ভরা। বহুবার মানুষ এই রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে, বিজ্ঞানীদের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় একটি বিশাল গর্ত। যাকে বিজ্ঞানীরা মাউথ টু হেল (mouths to hell) বলেও অভিহিত করেছেন।
বিশালাকার এই গর্ত নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মনে এক চাপা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, গর্তটি ক্রমেই বড় হয়ে উঠছে। চারপাশের সবকিছুকেই গিলে খাচ্ছে। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন ‘ডোরওয়ে টু আন্ডারওয়ার্ল্ড’। ক্রমশ;ই এই বিরাট গর্তকে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ১৯৮০ সালের তুলনায় এই গর্তের আকার বেড়েছে অনেকটাই। দৈর্ঘ্য ১ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গভীরতা বেড়ে হয়েছে ৮৬ মিটার। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন গর্তের উপরিভাগে যে মাটির স্তর রয়েছে তা প্রায় ৬ লক্ষ বছরের পুরনো।
তবে সব থেকে চিন্তার বিষয় গর্তটি প্রতিবছরই ২০ থেকে ৩০ মিটার বেড়ে চলেছে সেই সঙ্গে আশেপাশের সবকিছুকে গিলে খাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে বিশাল গর্তটি একটি গলে যাওয়া বরফের ফলাফল। তাদের ধারণা যখন ১৯৬০ সালে বনাঞ্চল পরিষ্কার করা শুরু হয় তখন হটাত করেই সুর্যের তাপ লেগে বরফাবৃত মাটি গলতে শুরু করে যার ফলেই সৃষ্টি হয়েছে এই গর্তের। জঙ্গল কাটার ফলেই যে এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তা একপ্রকার নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের প্রভাবে শীঘ্রই বিশ্বজুড়ে আরও ‘মাউথ টু হেল’ দেখা দিতে পারে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।