লাইফস্টাইল ডেস্ক: দৌড়ালে শ্বাসপ্রশ্বাসসহ দেহে নানা পরিবর্তন আসে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু এই যে পরিবর্তন না তা ভালো না খারাপ? সপ্তাহে আপনি এক দুইবার ২/৩ মাইল দৌড়ালেন। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু প্রতিদিনই যদি আপনি দৌড়ান তাহলে সেটা আপনার স্বাস্থ্যে কতটা এবং কী ধরণের প্রভাব ফেলবে- সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এ নিয়ে তর্ক তুঙ্গে ওঠে ২০১২ সালে। ব্রিটিশ জার্নাল ‘হার্ট’র সম্পাদকীয়তে জেমস ও’কিফি নামের এক কার্ডিওলজিস্ট লিখেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে শরীরচর্চার গুরুত্ব অনেক। কিন্তু এটা ক্ষমতাধর ড্রাগের মতোই, আপনাকে বুঝতে হবে তা কীভাবে গ্রহণ করতে হয়।
দৌড়ানোর অবশ্যই অনেক ভালো দিক আছে। কিন্তু এই ভালোটা পেতে গিয়ে আপনাকে অনেক সময় বিপদেও পড়তে হতে পারে। প্রত্যেক ব্যক্তিই ভিন্ন। সবারই গড়ন আলাদা এবং রোগে ভোগার ঝুঁকি একেক জনের একেক রকম। আমাদের কারোই খাদ্যাভাস এক রকমের নয়। সবার জীবনযাত্রার ধরনও ভিন্ন ভিন্ন।
এই চলকগুলো বাদেও আরো নানা ব্যাপার আছে। যেমন রক্তচাপ, কোলেস্টরেলের মাত্রা একেক জনের একেক রকম। দুর্ভাগ্যবশত, অনেকে অনুকরণ করতে ভালোবাসেন। তাদের মনে রাখা উচিত ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে বিস্তর তফাত। কারো দেখাদেখি হুট করেই কোনো কিছু শুরু করাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
আর সব দৌড়বিদেরই উচিত নিজের শরীরের ভাষা বোঝা, ধীরস্থির হওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী থামতে শেখা। আপনি যদি সিরিয়াস দৌড়বিদ হতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই ক্রীড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দৌড়াতে ভীষণ পছন্দ করেন এমন মানুষ দৌড়ানোবিহীন জীবন চিন্তাই করতে পারেন না। তবে তাদের উচিত নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সবার আগে ওয়াকিবহাল হওয়া। তার পর শুরু করুন দৌড়। হৃদয় এবং ধমনীতে যাই চলতে থাকুক না কেন, আপনার মন তখন নিশ্চিন্তে ছুটে চলবে রাজপথে। সূত্র : এনপিআর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।