প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে পেস্তা বাদাম দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনই সুস্বাদু। আপনি কি জানেন যে এই বাদাম অন্যান্য সাধারণ বাদামের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টিকর? হার্টের স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত, খাদ্যতালিকায় পেস্তা আপনার সামগ্রিক সুস্থতা বাড়াতে একটি সহজ এবং সুস্বাদু সংযোজন হতে পারে।
পেস্তা কেন?
পেস্তায় প্রচুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে করে। ২৮ গ্রাম পেস্তায় প্রায় ১৬০ ক্যালোরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ৩ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এটি ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম সহ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য উদ্বেগ। প্রতিদিনের খাবারে পেস্তা যোগ করলে তা এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে (LDL) এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা (HDL) বাড়াতে পারে। গবেষণা পরামর্শ দেয় যে, নিয়মিত পেস্তা খেলে ধমনী স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে, প্রদাহ হ্রাস করে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
পেস্তা প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন লুটেইন, জিক্সানথিন এবং গামা-টোকোফেরলে ভরা।
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ। ডায়েটে পেস্তা যোগ শরীরের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তারা প্রতিদিন পেস্তা খেতে পারেন। পেস্তায় থাকা উচ্চ ফাইবার উপাদান তৃপ্তি দেয় এবং ক্ষুধা নিবারণে সাহায্য করে। এছাড়া পেস্তার খোসা ছাড়িয়ে খেলে তা খাওয়ার গতিকে ধীর করে দিতে পারে, এটি মস্তিষ্ককে পূর্ণতার অনুভূতি বুঝতে দেয় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
পেস্তা বাদামের কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে, যার অর্থ এর রক্তে শর্করার মাত্রার ওপর ন্যূনতম প্রভাব রয়েছে। পেস্তার এই গুণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বা যারা তাদের রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল করতে চায় তাদের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে। পেস্তায় স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং প্রোটিনের সংমিশ্রণ রক্ত প্রবাহে চিনির শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে, যা ভালো ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।