লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভারতীয় বহুজাতিক কোম্পানি উইপ্রোর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি ২০২০ সালে ভারতের জনহিতৈষীর তালিকাতে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। তিনি প্রতিদিন ২২ কোটি রুপি বিলিয়ে দেন!
এক হিসেবে উঠে এসেছে যে, এ বছর তিনি ৭ হাজার ৯০৪ কোটি ভারতীয় রুপি দান করেছেন! প্রতিদিনের হিসাবে দানের এই পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২২ কোটি রুপি! বাংলাদেশী মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে ২৫ কোটি টাকারও বেশি!
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। ‘এডেলগিভ হিউরান ইন্ডিয়া ফিলানথ্রোপি লিস্ট ২০২০’ অনুযায়ী ৭৫ বছর বয়সী দানবীর আজিম প্রেমজি শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এশিয়ার শীর্ষ ধনী ভারতের মুকেশ আম্বানি।
এডেলগিভ হিউরান ইন্ডিয়ার তথ্য মতে, কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য গত ১ এপ্রিল ১ হাজার ১২৫ কোটি রুপি দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন, উইপ্রো এবং উইপ্রো এন্টারপ্রাইজেস। এর মধ্যে আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশনের অর্থের পরিমাণ ১ হাজার কোটি, উইপ্রোর ১০০ কোটি এবং উইপ্রো এন্টারপ্রাইজের অর্থের পরিমাণ ২৫ কোটি রুপি। এর সঙ্গে আরও রয়েছে উইপ্রোর বার্ষিক সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) এবং আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশনের নিয়মিত সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করা দানের অর্থও।
আজিম প্রেমজির ছেলে রিশাদ প্রেমজি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন যে, ‘আমার বাবা সব সময় বিশ্বাস করেন, তিনি কখনও তাঁর সম্পদের মালিক নন। তিনি মূলত এসব সম্পদের একজন তত্ত্বাবধায়ক মাত্র।’ রিশাদ আরও লেখেন যে, ‘আমরা যে সমাজে বসবাস ও কাজ করি, সে সমাজও এই উইপ্রোর অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
গত বছর গুজরাট বিদ্যাপীঠের স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য দেন আজিম প্রেমজি। সেখানে তিনি নিজের সমাজসেবামূলক কাজের অনুপ্রেরণার গল্পও শুনিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সমাজসেবামূলক কাজের পেছনে দুজন মানুষের অনুপ্রেরণা খুব বেশি রয়েছে। প্রথমত, তাঁর মায়ের ও দ্বিতীয়ত, মহাত্মা গান্ধীর।
এডেলগিভ হিউরান ইন্ডিয়া ফিলানথ্রোপি লিস্ট ২০২০ অনুযায়ী দেখা যায়, ভারতে জনহিতৈষী কাজের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন এইচসিএল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শিব নাদার। সমাজসেবায় তাঁর পরিবারের দানের পরিমাণ হলো ৭৯৫ কোটি রুপি। অপরদিকে তৃতীয় স্থানে থাকা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারের দানের পরিমাণ হলো ৪৫৮ কোটি রুপি।
এই তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে কুমার মঙ্গলম বিড়লা। তাঁর চলতি বছর দানের পরিমাণ হলো ২৭৬ কোটি রুপি। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বেদান্ত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অনিল আগরওয়াল। অনিল আগরওয়াল ও তাঁর পরিবার ২১৫ কোটি রুপি দান করেছেন। ষষ্ঠ স্থানে থাকা পিরামল গ্রুপের চেয়ারম্যান অজয় পিরামল এবং তাঁর পরিবারের দানের পরিমাণ ১৯৬ কোটি রুপি। তালিকার দশম স্থানে থাকা বাজাজ গ্রুপের চেয়ারম্যান রাহুল বাজাজ এবং তাঁর পরিবারের দানের পরিমাণ হলো ৭৪ কোটি রুপি।
তথ্যসূত্র : দৈনিক প্রথম আলো
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।