জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিপক্ষেকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কামাল উদ্দিনকে দলবল নিয়ে হত্যা করেন তার আপন ভগ্নিপতি মাখন মিয়া। খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ফারুক মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পারভেজ আলম চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৭ জানুয়ারি সিলেটের গোইনঘাট থানার গুচ্ছগ্রাম থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৮ জানুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি। ফারুক বানিয়াচং উপজেলার হরিপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে এএসপি জানান, হরিপুর গ্রামের মাখন মিয়া ও বজলু মিয়ার লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত বছরের ৬ নভেম্বর দুই পক্ষের সংঘর্ষে বজলু মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় মাখন মিয়াসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলে কয়েকজন গ্রেপ্তারও হন।
পরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে মাখন মিয়ার বাড়িতে আশ্রয়ে থাকা তার শ্যালক কামাল উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এ নিয়ে মজিদ মিয়ার বাড়িতে গোপন বৈঠকে আঁকা হয় খুনের ছক। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিনগত রাতে পার্শ্ববর্তী নবীগঞ্জ উপজেলার লহরজপুরের হাওরে কামালকে মাছ ধরতে পাঠান ভগ্নিপতি মাখন। সেখানে নদীর পাশে ধানক্ষেতে ফিকল দিয়ে বুকে আঘাত করে হত্যার পর চিৎকার করা হয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে প্রচার করা হয় বজলু মিয়ার লোকজন হত্যা করে চলে গেছে।
ঘটনার তিন দিন পর নিহত কামাল উদ্দিনের বোন ও পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকাণ্ডে উপস্থিত থাকা মাখনের স্ত্রী বজলু মিয়া পক্ষের ২৭ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পরপরই নিহতের ভগ্নিপতি মাখন, ফারুক, শরীফ, লেবুসহ তার স্বজনরা গাঢাকা দিলে পুলিশের সন্দেহের তীর চলে যায় বাদী পক্ষের দিকেই।
নবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মাখন মিয়া পক্ষের ইসলাম উদ্দিন নামে একজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর ৭ জানুয়ারি ফারুক গ্রেপ্তারের পর তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিজেরাই হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। হত্যার পরিকল্পনাকারী মাখনসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।