জুমবাংলা কৃষি: পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর ৫ লাখ ৮০ হাজার পাটচাষি এবং ৪৫ হাজার পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষিকে বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলোর ১০৫৬ জন শ্রমিকের পূর্ণ পাওনা পরিশোধ দেরি হচ্ছে। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের অধীন বন্ধ ঘোষিত মিলগুলোর পাওনা ও অন্যান্য দায়দেনা পরিশোধে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৮৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৮৩০ কোটি ৮১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। যার শতকরা হার ৯৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারাদেশে তাঁত ফ্যাক্টরির সংখ্যা দুইশ ৭৭টি এবং তাঁত ইউনিটের সংখ্যা এক লাখ ১৬ হাজার ১৭৭টি। ২০১৮ সালের তাঁতশুমারি অনুযায়ী তাঁতশিল্প থেকে দেশের মোট বস্ত্রের চাহিদার শতকরা ২৮ ভাগ পূরণ করা হয়ে থাকে (পাওয়ার লুম ব্যতীত)।
চাষিরা তুলা চাষে আগ্রহী হয় না
সরকার দলীয় সংসদ হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, দেশে উৎপাদিত তুলা বস্ত্র খাতের শতকরা দুই ভাগ চাহিদা পূরণ হয়। বাকি চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আমদানি বাবদ ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।
তিনি বলেন, তুলা উৎপাদনে ছয় থেকে সাত মাস লাগে। এই সময়ের মধ্যে চাষিরা একাধিক ফসল উৎপাদন উৎপাদন করতে পারে। এ কারণে চাষিরা তুলা চাষে আগ্রহী হয় না। আর তুলা চাষের জমির স্বল্পতা রয়েছে। দেশে উৎপাদিত তৈরি পোশাকের ৭৪ শতাংশই তুলা দিয়ে তৈরি হয়। বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের ৭৮ শতাংশ হাতে তৈরি সূতা দিয়ে। হাতে তৈরি সূতাভিত্তিক পোশাক উৎপাদনে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা তুলা আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করতে সহায়ক হবে।
নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জানান ২০১৮ সালের তাঁত শুমারি দেশে তাঁত সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার ২৮২ টি (পাওয়ারলুম ব্যতীত)। বাগেরহাট, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও ভোলা ব্যতীত দেশের সব জেলায় কম-বেশি তাঁত রয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদা ১৬ লাখ মেট্রিক টন। এরমধ্যে ১২ লাখ টন সুতা দেশে উৎপাদিত হয় বাকি ৪ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করা হয়।
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জানান ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৭ দশমিক ২৭ লাখ মেট্রিক টন পাট উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ দশমিক ১৫ লাখ মেট্রিক টন পাট রফতানি করা হয়েছে।
তিনি জানান ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১১২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২৯ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩৮ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলারের কাঁচাপাট রফতানি করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির জন্য একহাজার ২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। #বাংলাট্রিবিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।