আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে চলমান প্রতিবাদ-বিক্ষোভে এখনও উত্তাল সারা ভারত। দেশজুড়ে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন মোট ২০ জন। এর মধ্যে শুধু উত্তর প্রদেশেই দুই দিনে নিহত হয়েছেন ১৫ জন। আহত হয়েছেন অনেকে। অগণিত বিক্ষুব্ধ জনতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর থেকে ভারতজুড়ে ১৩টি শহরে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) কানপুরে পুলিশের একটি চেকপোস্টে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। রামপুরে ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের ওপর পাথর ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে, করেছে লাটিচার্জ।
দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশ চারদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্ষোভ করেছে প্রতিবাদীরা। সংঘর্ষে মীরাটে মারা পড়েছেন ৪জন, বিজনৌর, সম্ভল, কানপুর ও ফিরোজাবাদে মারা গেছেন দুজন করে। রামপুর ও বারানসিতেও নিহত হন একজন করে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, উত্তর প্রদেশে নিহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই শরীরে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তবে গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছেন রাজ্য পুলিশ।
রাজধানী নয়াদিল্লিতে টানা বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। পুরোনো দিল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই সংঘাতে আহত হয়েছে ৩৫ জনেরও বেশি মানুষ।
এই উত্তপ্ত মুহূর্তেই নির্বাচনি প্রচারণা সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তব্যে তিনি বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করেছেন।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-হিংসায় উত্তপ্ত দরিয়াগঞ্জের থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রামলীলা ময়দানে রোববার (২২ ডিসেম্বর) তিনি বক্তব্য রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।