আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ও সক্ষমতার প্রতীক আয়রন ডোম সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আল জাজিরার সংবাদদাতা হামদাহ সালহুত জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার (৫ নভেম্বর) তেল আবিবের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাটি থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুর দিকে না গিয়ে উপর থেকে খাড়াভাবে সড়কের ওপর আছড়ে পড়ে এবং তাতে আগুন ধরে যায়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এমনটি স্বীকার করে জানিয়েছে, কোনো হতাহত বা কোনো ভবনের ক্ষতি হয়নি। খবর আল জাজিরা।
গাজার সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের ইসরায়েল হামলার আগে থেকেই আয়রন ডোম তেল আবিবের অপ্রতিরোধ্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিতি পায়। গত দশকে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আয়রন ডোম যুক্ত করেছে। এ ছাড়া কানাডা, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, আজারবাইজান, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, মিয়ানমারসহ অনেক দেশ আয়রন ডোম কেনার ঘোষণা দিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর শনিবার ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতার প্রতীক আয়রন ডোমের ‘আভিজাত্যে’ আঘাত হানে হামাস। তারা অল্প সময়ের ব্যবধানে ইসরায়েলের মূলভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে। এতে বেকায়দায় পড়ে যায় এই ব্যবস্থা।
ইহুদিবাদী দেশটির বিভিন্ন অংশে মোতায়েন করা আয়রন ডোম হলো ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রকেট হামলা, আর্টিলারি গোলা, ও আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) ধ্বংসের কাজে ব্যবহৃত হয়।
আয়রন ডোম সিস্টেম থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা মোটামুটি ৭০ কিলোমিটার। তিনটি কেন্দ্রীয় অংশ নিয়ে একটি আয়রন ডোম তৈরি হয়। এগুলো হলো: ডিটেকশন অ্যান্ড ট্র্যাকিং, ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ওয়েপন কন্ট্রোল, এবং ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার। এ ব্যবস্থায় প্রতিটি ইউনিটে ২০টি করে তামির ক্ষেপণাস্ত্র থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনায় ২০১১ সাল থেকে ইসরায়েল আয়রন ডোম ব্যবহার করছে। ২০০৬ সালে লেবানন যুদ্ধের সময় সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করলে ইসরায়েলের হাফিয়াসহ আরও কয়েক স্থানে বহু ইসরায়েলি নিহত হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় নিজেদের জন্যে এ অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।