আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার বিমানবাহিনীর প্রথম হিজাবি কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মায়সা উজা। ২৯ বছর বয়সী এ মুসলিম নারী গর্বের সঙ্গে হিজাব পরে বিমানবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করছেন। অবশ্য সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্ম হিসেব হিজাবসহ অন্যান্য ধর্মীয় পোশাক পরার অধিকার নিশ্চিত করতে তাঁকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেভেন অ্যাকশন নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মায়সা উজা বলেন, ‘প্রথমে নিয়োগ পেয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো মুসলিম নারীকে ইউনিফর্ম হিসেবে হিজাব পরতে দেখিনি।’
উজা জানান, ‘অফিসার প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করা পর্যন্ত আমি ধর্মীয় পোশাক পরতে পারব না বলে জানানো হয়। তখন আমার মনে হয়েছিল যে আমাকে ধর্মীয় অনুশাসন চর্চা ও দেশের সেবার মধ্যে কোনো একটিকে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হচ্ছে।’
২০১৮ সালে তাকে হিজাব পরার জন্য আইনি অনুমোদন নিতে হয়। বর্তমানে তিনি বিমানবাহিনীর আইন বিষয়ে জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল (জেএজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উজা বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমি বিমানবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে মনে হয়েছে যে আমার ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এরপর আমি আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (এসিএলইউ) ও আইন বিষয়ক হামুদ ও দাখলাল্লাহসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’
উজার হিজাব পরার প্রচেষ্টায় শুধমাত্র তিনিই হিজাব পরার ধর্মীয় অধিকার পাননি। বরং এ বছর সবার ধর্মীয় পোশাকের অধিকার সুনিশ্চিত করতে ইউনিফর্ম বিষয়ক নীতিমালায় পরিবর্তন করা হয়। অর্থাৎ এখন থেকে অফিসার্স ট্রেনিং শেষ হওয়া আগ পর্যন্ত বিমানবাহিনীর যেকোনো নারী ও পুরুষ কর্মকর্তা ইউনিফর্ম হিসেবে নিজের ধর্মীয় পোশাক পরার আবেদন করতে পারবেন।
বাবা-মায়ের অনুপ্রেণায় মায়সা উজা বিমানবাহিনী যোগ দিয়েছেন। ১৯৮০ সালে তাঁর বাবা-মা লেবানন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ি জমান। তখন তাদের কাছে একমাত্র গায়ের পোশাক ছাড়া আর কিছু ছিল না।
উজা বলেন, ‘আমি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে চাই। আমি চাই সবাইকে সহায়তা করতে, যেন সবার আওয়াজ উঁচু হয়।’ আর তাই জেএজি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উজা একজন নারী অধিকারকর্মী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন।
মার্কিন বিমান বাহিনীতে বর্তমানে অধিকাংশ শ্বেতাঙ্গ ও পুরুষ দায়িত্ব পালন করছেন। বাহিনীর শতকরা ২০ দশমিক ৩ ভাগ নারী কর্মী রয়েছে। এর আগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী প্রথম হিজাবি ধর্মীয় ব্যক্তি নিয়োগ দেওয়া হয়।
সূত্র : এবিসি অ্যাকশন নিউজ
Take a 🔍at the special bond between Muslim and Jewish Judge Advocates at @WrightPattAFB Legal Office. https://t.co/65w3rJnhYR Pictured Capt Maysaa Ouza (L) & Capt Yosef Hochheiser (R) @usairforce #teamwork pic.twitter.com/bvo0lPl6Qp
— The Air Force Judge Advocate General's Corps (@USAFJAGCorps) June 17, 2021
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



