জুমবাংলা ডেস্ক : ইংল্যান্ডের শীর্ষ সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইংল্যান্ড’ এর ৯৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেকআপবিহীন প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়েছেন মেলিসা রউফ (২০)। মেলিসার প্রত্যাশা, মেকআপ ছাড়া এ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তার অংশগ্রহণ মেয়েদেরকে আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে বাঁচতে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি মনে করেন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যে ‘টক্সিক বিউটি স্ট্যান্ডার্ড’ তৈরি করেছে তার অবসানে ভূমিকা রাখতে চান তিনি।
লন্ডনের বেটারসিয়ার বাসিন্দা মেলিসা রউফ পড়াশোনা করেছেন রাজনীতি নিয়ে। রাজনীতির পাঠ নেয়া এ সুন্দরী মনে করেন, সব মেয়েই সুন্দর। যদি কোনো মেয়ে তার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে খুশি থাকে তবে তাকে মেকআপ করতে বলাই উচিত না। আমরা ইউনিক কারণ আমাদের ত্রুটি আছে, আর ত্রুটিগুলোর জন্যই আমরা সুন্দর। যেহেতু সারল্যই আসল সৌন্দর্য, তাই আমার মনে হয় আমাদের ত্রুটিগুলো আমাদের মেনে নেয়া উচিত।
মেকআপ ছাড়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মেলিসার অংশগ্রহণ আরও অসংখ্য মেয়েকে উৎসাহিত করেছে। মেলিসা বলেন, অনেক মেয়ে আমাকে টেক্সট পাঠিয়ে জানিয়েছে যে, আমি কীভাবে তাদেরকে উৎসাহিত করেছি। ওরা বলেছে যে, আমি ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছি। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই প্রত্যেকটি মেয়েই নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নিয়ে ভালো বোধ করুক, আত্মবিশ্বাসী থাকুক। আমি তথাকথিত সব ধরনের বিউটি স্ট্যান্ডার্ডের ইতি টানতে চাই। আমি যা করছি তা প্রত্যেকটি মেয়ের জন্যই করছি।
মেকআপ ইস্যুতে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে মেলিসা বলেন, ছোটবেলায় যখন মেকআপ করতাম তখন আমি কখনোই নিজের ত্বক নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম না।
কোনো মেকআপ ছাড়াই ‘মিস ইংল্যান্ড’ এর সেমিফাইনালে বিচারকদের মন জিতে নেয়া মেলিসা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। প্রায় সব বয়সী মেয়েকেই মেকআপ করার জন্য জোর করা হয়।
আগামী অক্টোবরে ইংল্যান্ডের শীর্ষ এ সুন্দরী প্রতিযোগিতার ফাইনালে ৪০ জন শীর্ষ প্রতিযোগীর সাথে লড়তে যাচ্ছেন মেলিসা। ফাইনালের মঞ্চেও মেকআপ ছাড়াই উঠবেন বলে জানিয়েছেন মেলিসা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ন্যাচারাল বিউটি আর টক্সিক বিউটি স্ট্যান্ডার্ডের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান জানাতে কোনো মেকআপ ছাড়াই ফাইনালের মঞ্চে উঠবো আমি। মেকআপ ছাড়াই আমি আত্মবিশ্বাসী একজন মানুষ। মেকআপ করলে আমার সব আত্মবিশ্বাস মেকআপের নিচে ঢাকা পড়ে যায়। এটাই আমি, আমার সত্যিকারের ব্যক্তিত্ব প্রকাশে আমি কখনো ভয় পাই না। আর এটা আমি সবাইকে দেখাতে চাই।
প্রসঙ্গত, ‘বেয়ার ফেইসড টপ মডেল’ নামক একটি রাউন্ড আগে চালু হলেও এ প্রতিযোগিতার আয়োজকরা জানান, ‘মিস ইংল্যান্ড’ এর ৯৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো প্রতিযোগী এ রাউন্ডে নাম লিখিয়েছেন। এ ঘটনা প্রথমে বিচারকদের মাঝে বিস্ময়ের জন্ম দেয়। তারা একইসাথে মুগ্ধ মেলিসার আত্মবিশ্বাসে।
এ প্রসঙ্গে মেলিসা বলেন, এটা নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। তবে সেমিফাইনালে জেতার পর আমার খুবই ভাল লেগেছে। এর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।