জুমবাংলা ডেস্ক : দুজনের ভালোবেসে বিয়ে হয় ঢাকায়। শ্বশুড়বাড়ি দেখতে বায়না করলেও স্বামী নিয়ে আসেননি। একবছর পর নববধূ প্রথমবারের মতো এলেন শ্বশুরবাড়ি। যাওয়ার পর শ্বশুর নববধূর হাতে ধরিয়ে দিলেন তালাকনামা। তবে শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে রাজি হয়নি নববধূ। বিয়ষটি গড়ায় থানায়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় আনলে দালালের খপ্পরে পড়ে শেষমেষ কথিত মামার বাড়িতে আশ্রয় হয় নববধূর। এমন ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়।
নববধূ জানায়, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার একটি গ্রামে। ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন তিনি। একটি মার্কেটে গিয়ে পরিচয় হয় নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ঘোষপালা গ্রামের মো. সুলতান উদ্দিনের ছেলে ওমর ফারুকের সঙ্গে। এরপর প্রেম। ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের এক নিকাহ নিবন্ধকের কাছে তিন লাখ টাকা মোহরানায় বিয়ে হয় তাদের। এরপর দুজনে মিলে একটি ভাড়াবাসায় সংসার শুরু করেন।
গৃহবধূ আরো জানায়, স্বামী মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। তিনিও শ্বশুরবাড়ি আসার বায়না ধরেন স্বামীর কাছে। কিন্তু তার স্বামী নানা অজুহাত দিতেন। এর মধ্যে একদিন স্বামী গ্রামের বাড়িতে এসে আর ফেরেননি। পরে তিনি এক আত্মীয়কে নিয়ে স্বামীর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা মতো নান্দাইলে আসেন গত শুক্রবার সকালে। স্ত্রীর আগমনের খবরে স্বামী লাপাত্তা। ঘরে প্রবেশ করে শ্বশুর-শাশুড়িকে পরিচয় দিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন নববধূ। পরদিন (শনিবার) শ্বশুর গত এক মাস আগে স্বাক্ষরকৃত একটি তালাকনামা ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলেন।
তালাকনামা হাতে পেলেও শ্বশুববাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হননি নববধূ। পরে শ্বশুর সুলতান উদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর মামা পরিচয়ে এক ব্যক্তির জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
নান্দাইল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, সুলতান উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে এক নারীর অনাধিকার প্রবেশের লিখিত অভিযোগে প্রেক্ষিতে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে ওই নারীর এক আত্মীয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।