আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রথমে অপহরণ। তারপর দিনের পর দিন গণধর্ষণ। এক নাবালিকাকে দিনের পর দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ১৬ বছরের এই কিশোরীকে ৫১ দিন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা মার্চের হলেও প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি।
নয়ডার মামুরা এলাকায় মেয়েটির বাড়ি। দুই ব্যক্তিও ওই এলাকারই বাসিন্দা, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
মেয়েটি ওই যুবকদের খপ্পর থেকে পালিয়ে এসে বাবা-মাকে শারীরিক নিগ্রহের কথা জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি নিরক্ষর হওয়ায় জায়গার নাম পড়তে পারেনি রাস্তায়, তবে দুই অভিযুক্তর নাম পুলিশকে জানিয়েছে নিগৃহীতা নাবালিকা।
মেয়েটির বাবা কারখানার একজন ঠিক শ্রমিক। দুই অভিযুক্তের একজন ছোটু, মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরের বাসিন্দা। অন্যজন সূর্য, মাহোবার বাসিন্দা। মার্চের প্রথম সপ্তাহে ওই দুই ব্যক্তি মেয়েটির বাড়িতেও এসেছিল। তখনই আলাপ হয়। ওই আলাপের সূত্র ধরেই মেয়েটিকে অপহরণ করে অভিযুক্তরা। ২ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে মেয়েটিকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে জানিয়েছে সে। এর পর আদিত্য নামের এক ব্যক্তিও মেয়েটির উপর অত্যাচার চালায়।
২২ এপ্রিলই মেয়েটি পালিয়ে আসে। ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে যাতে না আসে মেয়েটিকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল, পুলিশি অভিযোগে এমনটাই জানান তাঁর বাবা। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘অত্যাচারিত হয়ে মেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিল বহুদিন পরে। পুলিশে অভিযোগ জানালেও তারা নিতে চায়নি ডায়েরি। মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষাও করার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ শুধু একটা কাগজে সই করিয়ে নেয়।’’
৩০ এপ্রিল এফআইআর দায়ের হয়। গৌতম বুদ্ধ নগর এলাকার এসপিকে লিখিত অভিযোগ জানান মেয়েটির বাবা। এসপির হস্তক্ষেপে ৭ মে ওই নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়। ৩৭৬ডি, ৫০৬ ও পকসো-এই তিনটি ধারায় অভিযুক্তদের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।