আধুনিক বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছে তার কণ্ঠ। তাকে বলা হয় এদেশের সিনেমার গানের সম্রাট। সত্তর দশকের শেষদিকে গান গাওয়া শুরু করেন সিনেমার জন্য। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি প্রায় ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়।
বলা চলে বাংলা চলচ্চিত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন প্লেব্যাক করে। এতে একদিকে যেমন পেয়েছেন কোটি মানুষের ভালোবাসা তেমনি ৮বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও ঘরে তুলেছেন তিনি।
তবে জীবনে প্রথম গান গেয়ে এন্ড্রু কিশোর ৮০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে এন্ড্রু কিশোর জানিয়েছিলেন, তবে সেই টাকা হাতে পাইনি। স্কুলের এক বড় ভাই ঢাকা থেকে আসছিলেন। বলে দিলাম, তাঁর কাছে টাকাটা দিয়ে দিন। বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া করে সে টাকা শেষ করে দিল। তবে চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে প্রতিটি গানের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পেতাম।
সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোনের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ এন্ড্রু কিশোর। পরে রাত ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুলাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



