স্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিনে তিন সেঞ্চুরি হয়েছে। চট্টগ্রামের বিপক্ষে সিলেটের জাকির হাসান এবং খুলনায় বরিশালের বিপক্ষে রাজশাহীর দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি-জহুরুল ইসলাম অমি সেঞ্চুরি পেয়েছেন। অন্য দিকে খুলনার বিপক্ষে প্রথম দিনেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে ঢাকা মেট্রো।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে রাজশাহী রানের পাহাড় গড়েছে। দিন শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৪২ রান। দুই ওপেনার জহিরুল ইসলাম অমি ও জুনায়েদ সিদ্দিকি পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ২৩৪ বলে ১২৭ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন জহুরুল। অন্যদিকে ৩০৬ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত আছেন জুনায়েদ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (৩১ অক্টোবর) টস জিতে ব্যাটিং নেয় সিলেট। জাকিরের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে দিনশেষে ৪ উইকেটে ৩৫১ রান করে দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। চার নম্বরে নেমে উইকেট কিপার এই ব্যাটার ১৩৯ বলে ৯ চার ১ ছয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে জাকিরের এটি ১২তম সেঞ্চুরি। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে ১৩২ রান নিয়ে নতুন করে শুরু করবেন এই ব্যাটার। এছাড়া তৌফিক খান তুষার খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস।
চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। নোমান চৌধুরী ও রনি চৌধুরী একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এদিকে বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা মেট্রো ও খুলনার ম্যাচে দ্বিতীয় দিনেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে ঢাকা মেট্রো। খুলনার ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেনি ঢাকা মেট্রোর বোলারদের সামনে। মাত্র ৬৮ রানে অলআউট হয় তারা। জিয়াউর রহমান (১৭) ও রবিউল ইসলাম রবি (১৫) ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। ১২ রান খরচায় স্বাধীন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেয়। জবাবে মেট্রো নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে খুলনার শেখ মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে ১০৮ রানে অলআউট হয় ঢাকা মেট্রো। মার্শাল আইয়্যুবের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে।
খুলনার স্পিনার মেহেদী ৪৪ রানে নেন ৫টি উইকেট। আশিকুর জামান ও জিয়াউর রহমান দুটি করে উইকেট নেন। ৫৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে প্রথম ইনিংসের মতোই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। সোমবার দিন শেষে ৮ রান তুলতেই তারা হারায় তিন উইকেট। ৪৬ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করবে খুলনা।
বিকেএসপির মতো বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামেও রান খরায় কেটেছে প্রথম দিন। রংপুরের সোহেল রানা ও আরিফুল হকের বোলিং তোপে ৮৪ রানে অলআউট হয় ঢাকা। শুভাগত হোম (২৮) ও অধিনায়ক তাইবুর রহমান (১৫) ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। সোহেল রানা ২৫ রানে ৫টি এবং আরিফুল ১০ রানে নেন তিনটি উইকেট।
প্রতিপক্ষকে ৮৪ রানে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। দুই পেসার সুমন খান ও সালাউদ্দিন শাকিলের তোপে ৭৩ রানে অলআউট হয় রংপুর। আরিফুল সর্বোচ্চ ১৯ রানের ইনিংস খেলেন। ঢাকার সুমন খান ৫টি এবং শাকিল তিনটি করে উইকেট নেন।
ঢাকা ৮৮ রান করেও ১১ রানের লিড পায়। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবেই দিন শেষ করেছে তারা। দিন শেষে ৮৮ রান করা ঢাকা এগিয়ে ৯৯ রানে। আব্দুল মজিদ ৩৩ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।