জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দিনে অনলাইনে হিট করেছেন সর্বোচ্চ ৬০ লাখ মানুষ। ঢাকার ২৯ হাজার ৯৬৮ টিকিটের মধ্যে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার ৮০১টি টিকিট। সারা দেশের আন্তঃনগর ট্রেনের এক লাখ ৫৩ হাজার ৮৮৯ টিকিটের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২৯ হাজার ৮০টি। সব মিলিয়ে সারা দেশে প্রথম দিনের এক লাখ ২৪ হাজার টিকিট অবিক্রিত রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রবিবার (২ জুন) সকাল আটটা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। শুরুতে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা) ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়। গত বছরের মতো এবারও সব টিকিটই অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। বেলা দুইটা থেকে পূর্বাঞ্চলের (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
প্রথম দিনে ১২ জুনের ঈদযাত্রার টিকিট বিক্রি হয়েছে। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ১৫ মিনিটে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয় ১০ হাজার ৭২৫টি টিকিট। বেলা ১টা পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৬০টি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।
রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তঃনগর ট্রেনগুলোয় সাধারণ শ্রেণির আসনের ২৫ শতাংশ আসনবিহীন (স্ট্যান্ডিং) টিকিট বিক্রি করা হবে। তবে এসব টিকিট অগ্রিম নয়, যাত্রার আগে আগে স্টেশনের কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে ৬০ লাখ মানুষ অনলাইনে হিট করেছে। বেলা দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে হিট করেছে ২৬ লাখ মানুষ।
রেলের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার (৩ জুন) বিক্রি হবে ১৩ জুনের টিকিট। একইভাবে ৪ জুন ১৪ জুনের, ৫ জুন ১৫ জুনের, ৬ জুন দেওয়া হবে ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।
ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১০ জুন। ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ২০ থেকে ২৪ জুনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ২০ জুনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে ১০ জুন। ২১ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১১ জুন। ২২ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১২ জুন। ২৩ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১৩ জুন। আর ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে ১৪ জুন।
ঈদযাত্রায় বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে সব মিলে ২০টি, অর্থাৎ ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এসব বিশেষ ট্রেনের টিকিট যাত্রার আগে স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।
এবার চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলবে দুই জোড়া। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল এক জোড়া, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল এক জোড়া, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল এক জোড়া, ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল দুই জোড়া এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর রুটে পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল এক জোড়া ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া পার্বতীপুর-দিনাজপুর রুটে এবং ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর রুটে গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল ট্রেন দুই জোড়া চলবে। চাঁদপুর, দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে ৭ দিন চলাচল করবে।
শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ও গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল ১৩ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত তিন দিন চলবে। আবার ঈদের পরে ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিন চলবে।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য ১২ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ‘ক্যাটল ট্রেন’ পরিচালনা করা হবে। আর পূর্বাঞ্চলে ক্যাটল ট্রেন চলবে ১২ জুন।
সহজ ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ দেবনাথ কালবেলাকে জানান, টিকিট বিক্রির শুরুতে সবচেয়ে বেশি অনলাইনে হিট হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা থেকে সবচেয়ে বেশি যাত্রী হিট করার কথা জানান তিনি। তবে অনলাইনে থেকে যাওয়া টিকিট যাত্রীরা যে কোন সময় সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।