জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারে প্রথম দিন ছয় হাজার ৯০১ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে টেকনাফে এক হাজার ১২৫ এবং উখিয়া ক্যাম্পে পাঁচ হাজার ৭৭৬ জন। উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ৫৬ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকার প্রথম ডোজ নেন তারা। প্রথম পর্যায়ে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাত পৌনে ১১টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এমআরএইচ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন ছয় হাজার ৯০১ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া শুরু হয়।’
স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকাদানে সাড়া অব্যাহত রয়েছে রোহিঙ্গাদের উল্লেখ করে ডা. আবু তোহা এমআরএইচ ভূঁইয়া বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেওয়া হবে।
সকালে উখিয়ার কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এক্সটেনশন-৪-এ আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করনে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) শাহ রেজওয়ান হায়াত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান ও ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) মো. নাইমুল হক প্রমুখ।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম দিন প্রায় সাত হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেওয়া হয়েছে।’
সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত এক লাখ ৭৯ হাজার ৭২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৫৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজার ৬৬৪ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জন রোহিঙ্গা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।