প্রথা ভেঙে দেহরক্ষীকে বিয়ে করলেন থাই রাজা

প্রথা ভেঙে নিজ দেহরক্ষী সুথিদাকে বিয়ে করলেন থাইল্যান্ডের রাজা মাহা-ভাজিরা-লঙ্কারন। বিয়ে পরে স্ত্রীকে দেন রানির মর্যাদা।

রাজা হিসেবে তার আনুষ্ঠানিক অভিষেকের মাত্র তিন দিন আগে বুধবার বিয়ে করে নতুন স্ত্রীকে রানি সুথিদা উপাধি দেন মাহা-ভাজিরা-লঙ্কারন

রাজকীয় এক ফরমানে রাজার নতুন বিয়ের কথা ঘোষণা করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজপরিবারের সব সদস্য। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে, রানির মাথায় পানি ছিটিয়ে দেন রাজা। ২০১৪ সাল থেকে মাহা-ভাজিরা-লঙ্কারনের দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করছিলেন সুথিদা।

৭০ বছর থাইল্যান্ডের সিংহাসনের আসীন থাকার পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজ মৃত্যুবরণ করেন। তারপর সাংবিধানিকভাবে রাজা হন তার ছেলে ভাজিরালংকর্ন। রাজা হয়ে ৬৬ বছর বয়সী ভাজিরালংকর্ন রাজা দশম রামা উপাধি গ্রহণ করেন।

শনিবার সুবিস্তৃত বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রাজা হিসেবে মুকুট পরার কথা রয়েছে তার। অভিষেকের পরদিন রোববার ব্যাংককের রাজপথে নতুন রাজার শোভযাত্রা করারও কথা রয়েছে।

৬৬ বছর বয়সী এই রাজা আরও তিনটি বিয়ে করেছিলেন। সবগুলোকেই তালাক দিয়েছেন তিনি। বতর্মানে তার সাত সন্তান রয়েছে।

রাজার বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান প্রায়ুথ চান ওচা, রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও রাজপরিবারের উপদেষ্টারা উপস্থিতি ছিলেন।