আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্মিলিত বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে হেরে প্রধানমন্ত্রী পদ হারিয়েছেন ইমরান খান। আগামীকাল ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ- জাতীয় পরিষদে নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। অর্থাৎ, আইনপ্রণেতাদের ভোটে এবার নির্বাচিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খান অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গেলেও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
ক্ষমতা হারানোর পর এই প্রথম মুখ খুললেন পাকিস্তানের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বিদেশি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি বার্তা দিয়েছেন। ইমরান খান টুইটে লিখেছেন, “১৯৪৭ সালে পাকিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়। কিন্তু শাসন পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আজ আবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছে। দেশের জনগণই সর্বদা তাদের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করে।”
এদিকে, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দু’জন। এর মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের (তেহরিক ই ইনসাফ) পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে, ইমরানকে উৎখাত করা সম্মিলিত বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হলেন শেহবাজ শরিফ।
ইতোমধ্যে শাহ মুহাম্মদ কুরেশি এবং শেহবাজ শরিফ জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পিটিআই শেহবাজের মনোনয়নের বিষয়ে আপত্তি তোলে। পরবর্তীতে পিটিআইয়ের কুরেশি এবং পিএমএল-এন নেতা আহসান ইকবালের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আজ রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল। বিকাল ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।