জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে যাওয়া-আসার টিকিটের দাম মূলত ৬৭ হাজার টাকা। এখন ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায়ও বিমানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বিমানের অসাধু কর্মকর্তা ও কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট প্রতি টিকিটে ২০ হাজার টাকার বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে। মাসে কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করে যাত্রীদের পেটে লাথি মারছে ওই ‘সিন্ডিকেট’। এসব কাণ্ডে বিমান টিকেট সিন্ডিকেটের হোতাদের গ্রেফতার এবং দুর্নীতিবাজ বিমান সেলস কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করাসহ শাস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর–রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদ।
বেশকিছু দিন ধরে বিমানের টিকিটের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল যাত্রীদের। এ নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে। এরমধ্যেই বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ তুলেছে। এর পেছনে জড়িতদের নাম প্রকাশ না করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, হজ এবং ওমরাহ মৌসুম এলেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম ‘অনৈতিকভাবে’ বাড়ানো হয়। এর পেছনে বিমানের কয়েকজন ‘দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত’।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল নাসের। তবে বিমানের টিকিটের দাম বাড়ানোর সঙ্গে কারা জড়িত, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। সংশ্লিষ্ট ‘সিন্ডিকেটের’ কারো নাম বলতেও রাজি হননি সভাপতি।
আবদুল্লাহ আল নাসের লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে বিমানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০টি আসন খালি যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নাসের বলেন, দুই বছর ওমরাহ বন্ধ থাকার পর মাত্র তিন মাস আগে চালু হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরাহ পালন করতে দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু গুটিকয়েক ট্রাভেল এজেন্সি অবৈধভাবে বিমানের মতিঝিল বিক্রয় কার্যালয়ের কিছু ‘অসাধু কর্মকর্তার’ মাধ্যমে শত শত টিকিট বরাদ্দ নিয়েছে। এতে ঢাকা-জেদ্দা রুটে এক ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে বিমানের মতিঝিল কার্যালয়ে অভিযান চালাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ওই কার্যালয়ের খাতা ও কম্পিউটার পরীক্ষা করা হলে এজেন্সির নামে বরাদ্দ করা টিকিটের হিসাব পাওয়া যাবে। এতে কোটি কোটি টাকা অবৈধ আয়ের তথ্যও বেরিয়ে আসবে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন, সহ সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, বশির আহমেদ, কামাল উদ্দিন, মোশাররফ হোসেনসহ আরও অনেকেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।