নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে রাতভর ভারি বর্ষণ হওয়ার পর আজ ২৭ মে ভোর থেকে অবিরাম চলছে বৃষ্টিপাত । বৃষ্টি আর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারের পানিতে বন্দরনগরীর নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও মূল সড়ক এবং অলিগলি কোমরপানিতে ডুবে আছে। বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ অবস্থা। খোদ নগরের মেয়রও নিজবাসায় পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছ। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা এমএইচএম মোসাদ্দেক জানান, সকাল ৯টা ২২ মিনিটে জোয়ার শুরু হয়। ভাটা শুরু হবে বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে। ফলে এ নির্দিষ্ট সময়কালের আগে এবং পরে বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতের মধ্যে নগরীর একটি নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) সকাল ৮টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার টেক্সটাইল গেট আবাসিক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম হৃদয় (২৬) বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ বোস্তামি স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তার পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সীমানা দেয়াল ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই আমরা এসে লাশ উদ্ধার করি। তিনি রিকশা চালাতেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি বাসা থেকে বের হয়ে রিকশার গ্যারেজে যাচ্ছিলেন।’
টানা বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে নগরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষেরা। বন্ধের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না থাকায় নগরীতে অনেক স্কুল-কলেজ খোলা আছে। শিশুদের স্কুলে পৌঁছাতে গিয়ে অভিভাবকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
রবিবার (২৬ মে) সকাল ৯টা থেকে থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, বাদুরতলাসহ বিভিন্ন এলাকা কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানিতে ডুবে তলিয়ে গেছে। যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।