জুমবাংলা ডেস্ক: আবাসন সংকট মোকাবিলায় বিতর্কিত গোল্ডেন ভিসা প্রকল্পসহ স্বল্পমেয়াদী বাড়িভাড়ার লাইসেন্স বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগাল সরকার। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে আকাশচুম্বী বাসা ভাড়া ও বাড়ির দাম নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় পর্তুগাল। আয় অপেক্ষাকৃত কম হলেও আবাসনখাতে ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল শহর লিসবন। সম্প্রতি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কারণে বড় শহরগুলোতে প্রকট আকার ধারণ করেছে আবাসন সংকট। আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাসা ভাড়া পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে অবশেষে শক্ত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পর্তুগাল সরকার।
এরই প্রেক্ষিতে বিতর্কিত গোল্ডেন ভিসা ইস্যুসহ স্বল্পমেয়াদী বাসা ভাড়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে নতুন বাসার নিবন্ধন দেয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সংকট মোকাবিলায় পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা ৯০ কোটি ইউরো তহবিল ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে থাকছে স্থানীয়দের কাছে দীর্ঘমেয়াদী বাসাভাড়া দেয়া বাড়ির মালিকদের কর প্রণোদনা ও স্থানীয়দের কাছ থেকে বাসাবাড়া নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের দেয়ার মতো পদক্ষেপ। আগামী মাস থেকেই এসব পদক্ষেপ কার্যকর হবে।
সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নিয়মবহির্ভূত আবাসনের কারণে গত কয়েকদিনে পর্তুগীজ গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ধনী বিদেশিদের পর্তুগালে বিনিয়োগের সরকারি নীতি ও পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির কারণে স্থানীয়দের জন্য বাসাভাড়া অসহনীয় লিসবন, পোর্তোসহ সবকটি বড় শহরে। পরিবার নিয়ে ভোগান্তিতে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।